প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১০:০৯ এএম
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১১:২০ এএম
ইসরায়েলের বিমান হামলার পর গাজার দৃশ্য। মধ্য গাজা থেকে ১৫ অক্টোবর তোলা। ছবি : সংগৃহীত
গাজার কোনো স্থানই নিরাপদ নয়। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির সর্বত্র ইসরায়েল বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা হামলা চালাচ্ছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের মানবিক সহায়তা বিভাগের পরিচালক গ্যাব্রিয়েলা ওয়াজমান এ মন্তব্য করেছেন।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) গাজার বর্ণনা দিতে গিয়ে গ্যাব্রিয়েলা ওয়াজমান বিবিসিকে বলেন, এখানে আমার কর্মীদের জন্য পরিস্থিতি বেশ কঠিন। অনেক কর্মী তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। কারণ তাদের নিরাপত্তা দেওয়া আমার জন্য কঠিন হয়ে গেছে।
ওয়াজমান বলেন, আমার একজন সহকর্মী আজ আমাকে বলেছেন তিনি আশা হারিয়ে ফেলছেন। এখন সন্তানদের কাছে ফেরাই তার একমাত্র স্বপ্ন। আমরা উদ্বিগ্ন যে এখানকার অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর ইতোমধ্যে অন্তত ২ হাজার ৬৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু প্রায় ৭০০। আহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি। স্থানচ্যুত হয়েছে ১০ লাখের বেশি। ধ্বংস হয়েছে ১১ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি, হাসপাতাল ও অন্য অবকাঠামো।
অন্যদিকে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে সেনা ২৮৬ জন।
গাজায় ঢোকার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে আছে ইসরায়েলি সেনা। সাঁজোয়া যান ও ট্যাংক পজিশনে নিয়ে গাজা সীমান্তে অপেক্ষা করছে ৩ লাখ ইসরায়েলি সেনা।
লেবানন ও সিরিয়া সীমান্তে রবিবার (১৫ অক্টোবর) ৪ কিলোমিটারের একটা বাফার জোন খোলার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। অর্থাৎ উত্তর ফ্রন্টেও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটি।
সূত্র : বিবিসি