প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:১৩ পিএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৩১ পিএম
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান (বাঁয়ে) ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ১৭ অক্টোবর বেইজিংয়ে শুরু হওয়া বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ফোরামের এক ফাঁকে। ছবি : সংগৃহীত
বেইজিংয়ে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেইজিংয়ে শুরু হওয়া বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ফোরামের এক ফাঁকে তারা বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা দুই দেশের বাণিজ্য, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, ইউক্রেন যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন।
পুতিন অরবানকে বলেছেন, ইউরোপের চলমান পরিস্থিতিতে আপনার সঙ্গে বৈঠক করতে পারা বিশেষ ঘটনা। আমাদের দুই দেশে বাণিজ্য সম্পর্ক ক্রমশ বাড়াবে। আমরা সব ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করব।
অরবান বলেছেন, হাঙ্গেরি-রাশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। ইউক্রেন যুদ্ধের চাপ সত্ত্বেও আমরা কখনও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ভাবিনি। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর মধ্যে হাঙ্গেরি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সংস্থাটির অবস্থানের ঘোরতর বিরোধী। দেশটি রাশিয়ার ওপর আলাদা করে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। অরবানের দাবি, নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার চেয়ে ইইউর বেশি ক্ষতি করেছে।
পুতিন-শি বৈঠক
দুই দিনের সফরে বুধবার (১৮ অক্টোবর) চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন পুতিন। তাদের বৈঠক সম্পর্কে আলজাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে চীন ও রাশিয়ার শীর্ষ দুই নেতার মধ্যকার বৈঠকটি খুব বেশি আলো পাবে না। পশ্চিমা বিশ্ব বেইজিং-মস্কোর অংশীদারত্ব নিয়ে বারবার সমালোচনা করলেও দুই দেশই সেই সব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে, অন্যান্য দেশ রাশিয়ার আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও বেইজিং রাশিয়ার তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
চীন সফরের আগে চীনা সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সি চিন পিংয়ের গৃহীত বৈশ্বিক উদ্যোগের বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে পুতিন বলেন, ‘একটি বহুমেরুক বিশ্ব রূপ নিচ্ছে এবং রাষ্ট্রপতি শি চিন পিং যেসব ধারণা ও উদ্যোগ উত্থাপন করেছেন, তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন আক্রমণের মাত্র কয়েক দিন আগে চীন সফর করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। সে সময় তিনি রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ককে ‘সীমাহীন’ বলে আখ্যা দেন। পশ্চিমাদের চাপ সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার প্রকাশ্য সমালোচনা করেনি বেইজিং। তবে দেশটি আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধের জন্য দুই পক্ষের প্রতি বারবার আহ্বান জানিয়েছে। যুদ্ধ বন্ধ করতে বেইজিং একটি শান্তি পরিকল্পনাও দিয়েছে।
সূত্র : আরটি, আলজাজিরা