প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৪০ এএম
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:০০ পিএম
কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনের গম রপ্তানি নিরাপদ করতে বৈঠক। ২৫ নভেম্বর কিয়েভে। ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি নৌপথগুলোর পাশাপাশি রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কিয়েভের আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। শনিবার (২৫ নভেম্বর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিয়েভে খাদ্য সুরক্ষা সম্পর্কিত একটি আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষার ঘাটতি রয়েছে, এটি কোনো গোপন বিষয় নয়।’
কিয়েভের এ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বারসেট ও লিথুয়ানিয়ান প্রধানমন্ত্রী ইনগ্রিদা সিমোনিতেসহ ইউরোপীয় দেশগুলির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ইউক্রেন থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শস্য রপ্তানি আরও নিরাপদ করা নিয়ে আলোচনা করতেই মূলত শনিবার ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, শস্য রপ্তানি নিশ্চিত করতে মিত্ররা আরও সেনা ও জাহাজ দেবে কিয়েভকে। এতে করে রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাত থেকে পণ্য রপ্তানি সুরক্ষা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন দেয়ারলিয়েন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লেখেন, ইউক্রেনের বন্দরগুলো দ্রুত মেরামত এবং অবকাঠামোর উন্নতির জন্য পাঁচ কোটি ইউরো দেয়া হবে।
অংশীদারদের অর্থ সহায়তা দিয়ে নিজেদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো এবং বিমান প্রতিরক্ষা ঘাটতি সমাধান করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জেলেনস্কি।
চুক্তি নবায়ন না করায় কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি করতে বেগ পেতে হচ্ছে ইউক্রেনকে। ২০২২ ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থাতায় চুক্তিটি করে রাশিয়া-ইউক্রেন। চুক্তির মেয়াদ ইতোমধ্যে একবার নবায়ন করা হয়। তা শেষ হয় গত জুনে। এরপর রাশিয়া তা আর নবায়ন করেনি। রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেন ও তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির শর্ত পূরণ করেনি।
এদিকে শনিবার ইউক্রেনে প্রায় ৭৫টি ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। এর মধ্যে প্রায় ৭১টি ভূপাতিত করার দাবি করে ইউক্রেন। যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনে এটিই রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা।
সূত্র : রয়টার্স