প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২২ ২০:২৮ পিএম
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২২ ২১:৫২ পিএম
শশী থারুর। ফাইল ছবি
ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনাক মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) প্রথম অশ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি হিসেবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ধর্ম, সংস্কৃতি ও ভাষায় বৈচিত্র্যময় ভারতে এমনটি সম্ভব কি না। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশটিতে হিন্দু বাদে কোনো মুসলমান, খ্রিস্টান, জৈন বা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা শশী থারুর।
এনডিটিভির সঙ্গে এক আলোচনা সভায় শশী থারুর বলেন, ‘শিখরা ভারতে সংখ্যালঘু, তা ঠিক। সেই হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আপাতদৃষ্টিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু এ কথা মনে রাখতে হবে যে, ভারতের অধিকাংশ হিন্দু শিখদের নিজেদের থেকে আলাদা ভাবেন না।’
‘ভারতে বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠবাদ বা হিন্দুত্ববাদের শাসন যেভাবে তীব্র হচ্ছে, তাতে হিন্দু নয়, এমন কোনো ব্যক্তিকে কি আমরা ভারত সরকারের প্রধান (প্রধানমন্ত্রী) কল্পনা করতে পারি? যেসব ধর্মের উৎপত্তি ভারতের মাটিতে হয়েছে, হিন্দুত্ববাদীরা সেগুলো ছাড়া বাকি ধর্মগুলোকে পর বা বিদেশি মনে করে। এটা অত্যন্ত বিপজ্জন।’
যুক্তরাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে ভারতীয় এ রাজনীতিবিদ বলেন, ‘অথচ দেখেন, ঋষি সুনাক একজন আচারনিষ্ঠ হিন্দু। যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টোন চার্চিল হিন্দু ধর্মকে ‘অত্যন্ত নিম্নমানের ধর্ম’ মনে করতেন। এসব কিছুর পরও একজন ভক্তপ্রাণ হিন্দুকে তারা প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন। আমাদের এখান থেকে শেখার আছে।’
প্রসঙ্গ, ঋষি সুনাকের মাতা-পিতা ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলের হিন্দু মাতা-পিতার সন্তান। দাদি-দাদার সঙ্গে ঋষির মাতা-পিতা গত শতকের ৬০ এর দশকে কেনিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। ১৯৮০ সালের ১২ মে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন শহরে ঋষির জন্ম। রাজনীতি শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও ঋণদানকারি প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকসের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে ঋষি সুনাক প্রথম এমপি হন। ২০২০ সালে তাকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
প্রবা/টিএ/এমআই