প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:০৯ পিএম
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৩৫ পিএম
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (বাঁয়ে) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত সেপ্টেম্বরে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে। ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা তহবিল প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। এ অবস্থায় দেশটির জন্য নতুন সামরিক বাজেটের অনুমোদন দিতে আইনপ্রণেতাদের প্রতি জরুরি আবেদন জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউস। কিন্তু বিরোধীদের মধ্যে কিয়েভের জন্য নতুন তহবিল পাস করা নিয়ে বড় ধরনের মতবিরোধ রয়েছে।
আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউসের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট বাজেটের (ওএমবি) প্রধান শালন্দা ইয়াং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার কারণে ইউক্রেন উল্লেখযোগ্য বিজয় অর্জন করতে পেরেছে। এখন ইউক্রেনের আরও সহায়তা দরকার। এ অবস্থায় কংগ্রেসকে তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র ও সামরকি সরঞ্জাম সংগ্রহ করা এবং আমাদের সামরিক ভাণ্ডার থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। আমাদের হাতে মাত্র অল্প কিছু তহবিল আছে। অন্যদিকে নতুন তহবিল ঘোষণার জন্য হাতে সময়ও বেশি নেই।
সামরিক সহায়তা ব্ন্ধ করলে ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে হাঁটু গেড়ে বসবে। এতে করে ইউক্রেনের অর্জন ঝুঁকিতে পড়বে শুধু তাই নয়। বরং এমনটি হলে রাশিয়ার বিজয়ের সম্ভাবনা বাড়বে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইয়াং।
ইয়াং জানান, ইউক্রেনের জন্য প্রাপ্ত ৬ হাজার ২০৩ কোটি ডলার তহবিলের ৯৭ শতাংশ নভেম্বরে মাঝামাঝি ব্যয় হয়ে গেছে। এছাড়া আমাদের পররাষ্ট্র বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) চলতি বছরের সমস্ত তহবিল ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রুশ হামলার পর থেকে ইউক্রেনকে ১১ হাজার কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন। সম্প্রতি ইসরায়েল ও ইউক্রেনের জন্য ১ হাজার ৬ কোটি ডলারের তহবিল অনুমোদন দিতে আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কিন্তু ইউক্রেনকে আরও সামরিক তহবিল দেওয়া নিয়ে দেশটির প্রধান দুই রাজনৈতিক পার্টির মধ্যে মতবিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনে সহায়তা অব্যাহত রাখতে চায়। বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির অধিকাংশ সদস্য এটার বিরোধী। ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়া নিয়ে দুই পার্টির মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই।
তবে রিপাবলিকান পার্টির সিনেটের নেতা মিচ ম্যাককনেল সম্প্রতি বলেছেন, ইউক্রেনের নতুন তহবিলের জন্য আমরা আমাদের বিরোধী সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা এখনো অব্যাহত রেখেছি।
অন্যদিক দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান পার্টির স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অভিবাসী নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে রাজি হলেই কেবল আমরা ইউক্রেনের নতুন তহবিল পাসে সম্মত হবো। কিন্তু ইউক্রেনের যুদ্ধ কৌশল ও অর্থ ব্যয়ের হিসেব নিয়ে নিজেদের যথেষ্ট সঙ্গত প্রশ্ন রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন মাইক জনসন।
সূত্র : আরটি