প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:২৩ পিএম
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:১১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
গাজায় ‘অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আনা খসড়া প্রস্তাবনা ভোটাভুটির জন্য তোলা হয়েছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। যুক্তরাষ্ট্র ভেটো প্রদান করায় সেটি ভেস্তে যায়।
এর আগে গাজার পরিস্থিতিকে ‘অমানবিক দুঃস্বপ্ন’ বলে অভিহিত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস। গাজার কোনো এলাকাই বেসামরিকদের জন্য নিরাপদ নয় বলে ঘোষণা করেন গুতেরেসে। তার ওই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের অধিকাংশ সদস্য রাষ্ট্র সমর্থন জানালেও ভেটো দেয় স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র।
তবে তিন স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্সসহ নিরাপত্তা পরিষদের ১০ অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের সবাই প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। ভোট প্রদানে বিরত থাকে ব্রিটেন।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, ‘প্রস্তাবটি টেকসই নয়, এমন একটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, যা শুধু পরবর্তী যুদ্ধের বীজ বপন করবে। আমরা এই প্রস্তাব সমর্থন করি না।’
যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বলেছে, ‘এটি শুধু হামাসকে সুবিধা দেবে, ৭ অক্টোবরের প্রাণঘাতী আন্তঃসীমান্ত তাণ্ডবের জন্য যাকে ইসরায়েল নির্মূল করার প্রতিজ্ঞা করেছে।’
এর আগে যুদ্ধবিরতির বদলে সাত দিনের ‘সাময়িক’ যুদ্ধ বন্ধ রাখার দাবি সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের ওই বিরতিতে গাজা থেকে কিছু জিম্মি মুক্তি পেয়েছিল। ১ ডিসেম্বর থেকে গাজায় ফের আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।
রয়টার্স জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, ‘লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জীবন সংকটজনক অবস্থার মধ্যে রয়ে গেল।’ হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত এল-রেশিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রে ভেটো দেওয়ার নিন্দা করে এটিকে ‘অমানবিক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন।