প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:০২ পিএম
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:০৩ পিএম
তুরস্ক, ন্যাটো ও সুইডেনের পতাকা। গত ১০ জুলাইয়াই লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনের একটি বিশেষ বৈঠকে। ছবি : সংগৃহীত
সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্য করতে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে। চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার প্রাথমিক অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) তুর্কি পার্লামেন্টে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশন সুইডেনের ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন অনুমোদন করেছে। এখন দেশটির পার্লামেন্টে আলাপ-আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।
সুইডেনের ন্যাটোয় যোগদান নিয়ে দীর্ঘদিন টানাপড়েন চলছে। ন্যাটোর অন্য প্রতিনিধি দেশগুলি সুইডেনকে ছাড়পত্র দিলেও তুরস্ক দিতে রাজি হচ্ছিল না।
তুরস্কের অভিযোগ ছিল, সুইডেন কুর্দ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়। তাদের সমর্থন করে। ন্যাটো কুর্দ যোদ্ধাদের গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী বললেও সুইডেন নিজের দেশে তাদের সন্ত্রাসী বলে মনে করে না।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তুরস্ক ২০১৯ সাল থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও আরও কিছু সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চেষ্টা করছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে রাশিয়া থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনায় তা অনুমোদন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সব পক্ষের কাছে বেড়ে যায় তুরস্কের কদর। অন্য বিষয় বাদ দিলেও সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোর সদস্য করতে দরকার হয় তুরস্কের।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এফ-৩৫ এর পরিবর্তে ৪০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ও ৫০ টি সামরিক আধুনিকায়ন সরঞ্জামের প্যাকেজ সামগ্রী কেনার প্রস্তাব দেয় তুরস্ক। গত সপ্তাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, বাইডেন এরদোয়ানকে এফ-১৬ ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে সম্মত হয়েছেন। বিনিময়ে সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্য করতে রাজি হয়েছেন এরদোয়ান।
সূত্র : আল-মনিটর