প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৫৮ এএম
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৪৪ পিএম
জাতিসংঘের ত্রাণের আটার বস্তা নিয়ে শরণার্থী শিবিরে ফিরছেন ফিলিস্তিরা। ২৭ জানুয়ারি গাজা সিটিতে। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার পর ব্রিটিশ, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড এবং ফিলন্যান্ড ফিলিস্তিনের জন্য তহবিল দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত দেশগুলো জাতিসংঘের ফিলিস্তিন শরণার্থী তহবিলে (ইউএনডব্লিউএ) অর্থ দেবে না। শুক্র ও শনিবার (২৬-২৭ জানুয়ারি) আলাদা দুটি বিবৃতিতে দেশগুলো এ ঘোষণা দিয়েছে।
এসব দেশের অভিযোগ, ইসরায়েলে হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইউএনডব্লিউএর কয়েকজন কর্মী সহায়তা করেছে। কিন্তু এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সহায়তা বন্ধের ঘোষণার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইউএনডব্লিউএ।
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গাজায় কাজ পরিচালনা করছে জাতিসংঘের বৃহত্তম সংস্থা। সংস্থাটি গাজা, পশ্চিম তীর, জর্ডান, লেবানন এবং সিরিয়ার ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্য মানবিক সহায়তা প্রদান করে। গাজার অভ্যন্তরে সংস্থাটির প্রায় ১৩ হাজার কর্মী রয়েছে।
শুক্রবার লিখিত এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, গত ৭ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে ইউএনআরডব্লিউএর অন্তত ১২ জন কর্মীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই আমরা সংস্থাটিতে আপাতত তহবিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবং তাদের বিষয়টি তদন্ত করতে আহ্বান জানিয়েছি।
ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, তারা ইসরায়েলের সরবরাহকৃত তথ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মূলত ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ইউএনআরডব্লিউএসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন শাখার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব এবং এমনকি ইহুদি-বিদ্বেষের অভিযোগও এনেছে।
হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তহবিল বন্ধ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইউএনআরডব্লিউএ।
ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ্পে লাজারিনি বলেছেন, গাজায় প্রাথমিক মানবিক সহায়তা দানকারী এজেন্সি ইউএনআরডব্লিউএ। কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
সংস্থাটির সাবেকপ্রধান মুখপাত্র ক্রিস্টোফার গুনেস বলেন, ইউএনআরডব্লিউএকে সাহায্য স্থগিত করার এই সিদ্ধান্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি গাজায় আরও দুর্দশা সৃষ্টি করতে পারে।
গুনেস বিশ্বাস করেন, ইউএনআরডব্লিউএ তাদের অভ্যন্তরীণ তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই কর্মীদের বরখাস্ত করে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রতি তাদের জিরো-টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করেছে।
সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স