প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৫৬ এএম
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৪২ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ নিয়ে ভিসানীতিতে কোনো পরিবর্তন আনেনি যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে দেশটি।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন।
সাংবাদিক প্যাটেলের কাছে জানতে চান—বাংলাদেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি। এ নিয়ে উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করেছে তাদের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির অধীনে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের বিষয়ে কি আমি জানতে পারি?
উত্তরে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘এ নীতির কোনো পরিবর্তন সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। এ নীতি শিথিল করা হয়নি। কারণ নির্বাচন সবে শেষ হয়েছে। জানানোর মতো কোনো আপডেট নেই আমার কাছে।’
ওই সাংবাদিক ফের জানতে চান—নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশ। আরেকটি আদালতের নির্দেশের মাধ্যমে তার বিদেশ সফরের সক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করছে সরকার। অথচ ১২৫ জন নোবেলজয়ীসহ ২৪৩ জন বিশ্বনেতার একটি জোট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে বিচারিক হয়রানি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সিনেটর ডিক ডারবিনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের উভয় পক্ষের ১২ জন সিনেটর তার বিরুদ্ধে সব রকম হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেওয়ার বিষয়কে কোন দৃষ্টিতে দেখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?
উত্তর যুক্তরাষ্ট্রের এই মুখপাত্র বলেন, ‘অন্য পর্যবেক্ষকদের মতো আমরাও সমান উদ্বিগ্ন। তার বিরুদ্ধে আনা মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারকেই ফুটিয়ে তোলে। এটি ড. ইউনূসকে ভীতি প্রদর্শনের একটি পন্থা। যেহেতু আপিল প্রক্রিয়া চলমান তাই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আমরা উৎসাহিত করি।’