প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:০০ পিএম
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩৪ পিএম
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে পুলিশ হাসপাতাল থেকে গাড়িতে করে রাজধানী ব্যাংককে যেতে দেখা যায়। ছবি : সংগৃহীত
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ছয় মাস পুলিশ হাসপাতালে আটক থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন। তাকে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির দায়ে ৭৪ বছরের থাকসিনকে আট বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। এ অবস্থায় তিনি প্রায় ১৫ বছর স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে গিয়েছিলেন। গত বছরের আগস্টে দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর সাজা বলবৎ হয়।
নির্বাসন থেকে ফেরার কয়েক দিনের মধ্যেই থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন থাকসিনের সাজা কমিয়ে এক বছরে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তাকে এক দিনও কারাবাস করতে হয়নি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে কারাগারের জয়গায় পুলিশ হাসপাতালে ছিলেন থাকসিন।
থাকসিনের প্যারোলে মুক্তি থাইল্যান্ডে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। দেশটির সাধারণ মানুষ বলছেন, ধনী ও ক্ষমতাবানদের প্রায়ই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে।
থাইল্যান্ডের মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি একটি বিবৃতিতে জানায়, থাইল্যান্ডের প্রয়োজন এমন একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি যেখানে আইন ও বিচার সবার জন্য সমান হবে। কোনো সুবিধাভোগীর জন্য দ্বিমুখী আচরণ করবে না।
সিনেটর সোমচাই সোয়াংকর্ন থাকসিনের মুক্তিকে প্রশ্ন করে বলেছেন, ‘খুব অসুস্থ? প্যারোল? কিসের অসুস্থতা?’
সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক জ্বালানিমন্ত্রী পিচাই নারিপথাপন থাকসিনকে এত বছর পরে চাঁনসোংলায় তার নিজের বাড়িতে ফিরে আসায় অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, থাকসিনের বয়স ও স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তাকে প্যারোল দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো শর্তের ওপর ভিত্তি করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানানো হয়নি।
থাকসিন ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি দেশ ছাড়েন। জানা গেছে, তিনি তার নির্বাসনের বেশিরভাগ সময়ই ছিলেন লন্ডন অথবা দুবাইয়ে।
বর্তমানে থাইল্যান্ডের ক্ষমতায় রয়েছে তার পরিবারের ফিউ থাই পার্টি।
সূত্র : বিবিসি।