প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:০৩ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১০ পিএম
বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি শিশুরা খাবার নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ গাজার রাফাহ অঞ্চলের একটি শরণার্থী শিবিরে। ছবি : সংগৃহীত
গাজার ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ শিগগির দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ত্রাণ আটকে দেওয়ার অভিযোগ করে এমন হুঁশিয়ারি দিল জাতিসংঘ। তবে ত্রাণ আটকে দেওয়ার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থার (ওসিএইচএ) কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ইসরায়েল পরিকল্পিকভাবে ত্রাণ আটকে দিচ্ছে। যাতে খাদ্যের জন্য মরিয়া গাজার ফিলিস্তিনিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে না পারে। গাজার জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষ থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে আছে। জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া না হলে তারা দুর্ভিক্ষে পড়বে।
গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, খাদ্য সংগ্রহের জন্য জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গুলি করছে। এ ভিডিও আসার পরপরই মঙ্গলবার দুর্ভিক্ষের হুঁশিয়ারি দিল জাতিসংঘ।
ওসিএইচএর উপপ্রধান রমেশ রাজাসিংহাম জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে (ইউএনএসসি) জানান, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সি প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টি ও ক্ষয়ক্ষতিতে ভুগছে। গাজার ২৩ লাখ মানুষ বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য সহায়তার ‘শোচনীয়ভাবে অপর্যাপ্ত’। উপত্যকাটির ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে আছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) চলতি মাসের শুরুতে উত্তর গাজায় ত্রাণ পাঠানো স্থগিত করে। তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেই কেবল তারা গাজায় ত্রাণ পাঠাতে পারবে।
ডব্লিউএফপির উপনির্বাহী পরিচালক কার্ল স্কাউ ইউএনএসসিকে বলেন, ‘পরিস্থিতির উন্নতি না হলে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন।’
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার তথ্যমতে গাজায় সর্বশেষ ত্রাণ প্রবেশ করেছিল ২৩ জানুয়ারি।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয় গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন, গাজা ও মিসর সীমান্তের মধ্যে ১৫ হাজার মেট্রিকটন খাবারবাহী প্রায় ১ হাজার ট্রাক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ৫৩ জন।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৮৭৮ জন নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা নিহতের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি।
সূত্র : আলজাজিরা