ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস গাজার এক হাজারের বেশি মসজিদ

গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালিয়ে গাজার এক হাজারের বেশি মসজিদ ধ্বংস করে দিয়েছে। রবিবার (১০ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সেনারা রাফার আল হুদা মসজিদেও হামলা চালিয়েছে। ১৯৫২ সালে আল-হুদা মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর মধ্যে একটি ছিল মসজিদটি। এখানে একসময় একটি গ্রন্থাগার ও প্রার্থনা করার বিশাল জায়গা ছিল। যা ১৫০০ লোকের নামাজের জন্যও যথেষ্ট বড় ছিল।

ইসরায়েলি হামলায় মসজিদটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে সীমিত পরিসরে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। তবে আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে ফিলিস্তিনিরা নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা আল হুদা মসজিদে জমায়েত হওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এলক্ষ্যে মসজিদের পাশে ছোট একটি জায়গা প্রস্তুত করেছেন তারা।

এক ফিলিস্তিনি বলেছেন, ‘এখানকার বাসিন্দারা স্বেচ্ছায় মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য ছোট জায়গা প্রস্তুত করেছেন। আমাদের আচার-অনুষ্ঠান বজায় রাখার জন্য আমাদের এই পদক্ষেপ। আমরা আশা করছি এই যুদ্ধ দ্রুতই শেষ হবে। মসজিদটি পুনঃস্থাপন করা হবে। এটি কেন্দ্রীয় মসজিদ। এখানে আশেপাশের অনেক এলাকা থেকে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে ভিড় করেন।’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে। ইসরায়েল ধারণা করছে, এখনও প্রায় ১৩০ জন হামাসের কাছে জিম্মি আছে।

হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন অবধি প্রায় ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৭৩ হাজার।

 সূত্র: আলজাজিরা