প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪ ১৩:১৯ পিএম
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৪ ১৩:৩৩ পিএম
নবজাতকের ওজন মাপা হচ্ছে। ৩১ অক্টোবর ২০১১ সালে চীনের আনহুই প্রদেশের হেফেই শহরের একটি হাসপাতালে। ছবি : সংগৃহীত
চীনের অনেক হাসপাতালে চলতি বছর প্রসূতি সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। নবজাতকের জন্মহার কমে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে। রাষ্ট্র সমর্থিত সংবাদমাধ্যম ডেইলি ইকোনমিক নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
পূর্বাঞ্চলীয় ঝেজিয়াং ও দক্ষিণাঞ্চলীয় জিয়াংশিসহ চীনের কয়েকটি প্রদেশের হাসপাতালে গত দুই মাসে প্রসূতি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জিয়াংশির গানঝু সিটির ফিফথ পিপলস হাসপাতাল তাদের অফিসিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে ১১ মার্চ থেকে প্রসূতি পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে। ঝেজিয়াংয়ের জিয়াংশান হসপিটাল অব ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন তাদের উইচ্যাট পেজে ঘোষণা দিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের প্রসূতি পরিষেবার ব্যবস্থা বন্ধ থাকবে।
চীনের নীতিনির্ধারকরা একদিকে তরুণ দম্পতিদের মধ্যে সন্তান ধারণের আকাঙ্ক্ষা কীভাবে জোরদার করা যায় তা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। অন্যদিকে চীনে যুবকদের তুলনায় প্রবীণদের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলা নিয়ে বিপাকে পড়ছে কর্তৃপক্ষ।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের সাম্প্রতিক প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২০ সালে ৮০৭টি প্রসূতি হাসপাতাল ছিল। ২০২১ সালে তা ৭৯৩ টিতে নেমে এসেছে।
ডেইলি ইকোনমিক নিউজসহ স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, নবজাতকের সংখ্যা কমে যাওয়ার মানে হচ্ছে অনেক হাসপাতালের জন্যই তাদের প্রসূতি বিভাগ চালু রাখা সম্ভব নয়।
শিশু লালন-পালনের বিপুল ব্যয়, বিয়ে করার অনিচ্ছা বা ক্যারিয়ার স্থগিত রাখার শঙ্কায় চীনের নারীদের একটা বড় অংশ নিঃসন্তান থাকার পথ বেছে নিচ্ছে। চীনের সামাজিক ব্যবস্থায় এখনও মনে করা হয় সন্তানের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব মূলত নারীদের। তা ছাড়াও নারী-পুরুষের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্যটা ব্যাপকভাবে বিরাজমান সেখানে। এসব কারেণেও নারীরা সন্তান না নিতে আগ্রহী হচ্ছে।
চীনে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ড্রাগন বর্ষ শুরু হয়েছে। ড্রাগন বছরে চীনজুড়ে হাসপাতালগুলোতে বেশি শিশু জন্ম নিচ্ছে বলে জানিয়েছে আর্থিক সংবাদমাধ্যম ইকাই। কিন্তু জনসংখ্যাবিদরা বলছেন, ড্রাগন বর্ষে শিশু জন্ম বাড়লেও এ বৃদ্ধি স্বল্পস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স