প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩৩ পিএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫৫ পিএম
একজন ফরাসি পুলিশ কর্মকর্তা টহল দিচ্ছেন। ২০১৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার কনসার্ট হলে হামলায় ১৩৭ জন নিহত হওয়ার পর ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলার সতর্কতার মাত্রা বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার (২৪ মার্চ) সমাজমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তাল বলেন, ‘মস্কোয় হামলার পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট আজ সন্ধ্যায় জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছেন। মস্কোর হামলার জন্য ইসলামিক স্টেটের নিজেদের দায়ী দাবি করেছে। যার ফলে আমাদের দেশেল ওপর সন্ত্রাসী হামলার হুমকি ঘনীভূত হচ্ছে। তাই আমরা ভিজিপাইরেট পরিকল্পনাকে সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ভিজিপাইরেট হলো ফ্রান্সের জাতীয় নিরাপত্তা সতর্কতা ব্যবস্থা।
শুক্রবার (২২ মার্চ) মস্কোর উপকণ্ঠে ক্রোকাস সিটি হলে চারজন বন্দুকধারী হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি গুলি করে ও ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, গাড়িতে করে ইউক্রেন সীমান্তের দিকে পালানোর চেষ্টা করার সময় তাদের আটক করা হয়েছে।
জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট খেরাসান প্রভিন্স (আইএসআইএস-কে) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। কিন্তু মস্কো আইএসআইএস-কে এর এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্যারিস ও এর শহরতলীতে ইসলামপন্থিদের একটি গ্রুপ ১৭ জনকে হত্যা করে। এরপর থেকে ফ্রান্স শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে।
সরকার অপারেশন সেন্টিনেল কার্যকর করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। যাতে রাজধানীতে টহল দেওয়ার জন্য সশস্ত্র সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। ওই বছরের নভেম্বরে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আত্মঘাতী বোমা হামলা ও বন্দুকধারীদের হামলায় ১৩০ জন নিহত হয়।
সূত্র : আরটি