প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪ ১২:৫৭ পিএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩১ পিএম
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি : সংগৃহীত
মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে শুক্রবার রাতের কনসার্টে হামলায় উগ্র ইসলামি সংগঠনের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তাদের সঙ্গে ইউক্রেনের যোগ থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন। সোমবার (২৫ মার্চ) পুতিন এসব মন্তব্য করেন।
সোমবার টেলিগ্রামে এক পোস্টে পুতিন লেখেন, আমরা জানি যে এ অপরাধটি কট্টর ইসলামপন্থিদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। যারা এ বিশ্বাসে বিশ্বাসী যে মুসলমানরা শতাব্দীকাল ধরে লড়াই করে যাচ্ছে।
পুতিন সরাসরি ইসলামিক স্টেটের নাম নেননি। তবে তিনি তার আগের ধারণা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, হামলাকারীরা ইউক্রেনে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এখনও অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে যেগুলোর উত্তর খুঁজে বের করতে হবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট লেখেন, প্রশ্ন উঠেছে এ হামলা থেকে কে লাভবান হয়েছে? নব্য-নাৎসি কিয়েভ সরকার, যারা ২০১৪ সাল থেকে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছে, তারা আমাদের ক্ষতি করার যে একের পর এক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এ নৃশংসতার সঙ্গে হয়তো তার সম্পর্ক রয়েছে।
পুতিন ঘোষণা দেন, আমরা জানি কার হাতে রাশিয়া এবং রুশ জনগণের বিরুদ্ধে এ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তবে কে এর আদেশ দিয়েছে আমরা তাকেও খুঁজে বের করতে আগ্রহী।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর পশ্চিম উপকণ্ঠ ক্রাসনোগর্স্ক শহরের ক্রোকাস সিটি হলে কনসার্টের আয়োজন করে দেশটির ‘পিকনিক’ নামে একটি রক ব্যান্ড। কনসার্ট শুরুর আগে সেখানে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৩৭ জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় দেড়শ জন।
এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন ১১ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বন্দুকধারী চারজন। তাদের রবিবার আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের দুই মাসের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মস্কোর একটি আদালত।
এদিন অভিযুক্ত এ চার ব্যক্তিকে তাজিকিস্তানের নাগরিক বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে মস্কো।
আদালত একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তারা একজন সন্দেহভাজনকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতকক্ষে নিয়ে আসছেন। একজনকে চোখ বেঁধে আনা হচ্ছিল। তার চোখের বাঁধন খুলে ফেলা হলে একটি কালো চোখ দৃশ্যমান হয়। আরেকজনকে আদালতের কক্ষে হুইলচেয়ারে নিয়ে আসতে দেখা যায়।
সন্দেহভাজনরা হলো সাইদাকরামি মুরোদালি রাচাবালিজোদা, দালের্দজন বারোতোভিচ মিরজোয়েভ, শামসিদিন ফরিদুনি এবং মুহাম্মদসোবির ফয়জভ। চারজনই দোষ স্বীকার করেছেন।
সূত্র : গার্ডিয়ান, বিবিসি