প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৬:০১ পিএম
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৬:২৯ পিএম
হাসপাতালে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের ভিতরে। ছবি : সংগৃহীত
গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালে ১৩ দিনের ইসরায়েলি অভিযানে ৪০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে রোগী, যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা। রবিবার (৩১ মার্চ) গাজার মিডিয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।
আল-শিফা যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। ১৭ মার্চ রাতে এ হাসপাতালে চতুর্থবারের মতো অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
এরপরের দিন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হাসপাতালের ভিতরে অস্ত্র মজুদের একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সেখানে তারা জানায়, হাসপাতালটি আবার বন্দুকধারীরা ব্যবহার করছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আল-শিফা হাসপাতালে সেনাবাহিনী ও ট্যাংক সমর্থিত বিশেষ বাহিনী পাঠানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০ মার্চ আল-শিফা হাসপাতালের একটি ভবন উড়িয়ে দেয়। এতে ৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
ইসরায়েল দাবি করে আল-শিফা হাসপাতালে তাদের সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে অন্তত ৯০ জন বন্দুকধারীকে হত্যা করেছে। ৩০০ সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। গ্রেপ্তার করেছে আরও ১৬০ জনকে।
কিন্তু হামাস ইসরায়েলের দাবি অস্বীকার করে নিহতদের সাধারণ ফিলিস্তিনি বলে পাল্টা দাবি করে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে। ইসরায়েল ধারণা করছে, এখনও প্রায় ১৩০ জন হামাসের কাছে জিম্মি আছে।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ৬২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৩ হাজার শিশুও আছে। ৮ হাজার ৬৬৩টি শিশুসহ ৭৫ হাজার ৯২ জন আহত হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা