প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:১৭ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৩৪ পিএম
ইসরায়েলের টানা ১৪ দিনের অভিযানে আল-শিফা হাসপাতালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালে প্রায় দুই সপ্তাহের অভিযান শেষে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, দুই সপ্তাহের অভিযানে তারা ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের হত্যা করেছে। অস্ত্র ও গোয়েন্দা নথি জব্দ করেছে।
তাদের দাবি, বেসামরিক নাগরিক, রোগী ও মেডিকেল টিমের ক্ষতি ঠেকাতে হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়েছে।
কিন্তু গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির বৃহত্তম হাসপাতালটিতে রবিবার (৩১ মার্চ) পর্যন্ত ৪০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে রোগী, যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ১৮ মার্চ আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের অভিযান শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা সুবিধার অভাবে ২১ জন রোগী মারা গেছেন। হাসপাতাল কমপ্লেক্সের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের খবরও পাওয়া গেছে।
গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়া থেকে মোথ আল-কাহলাউত জানিয়েছেন, আল-শিফা হাসপাতাল থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করেছে। তাই সেখানে উদ্ধার অভিযানের জন্য গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা ও মেডিকেল কর্তৃপক্ষ আল-শিফা হাসপাতালে যাচ্ছে।
আল-কাহলাউত বলেন, ‘হাসপাতালের ভেতরে থাকা কমপ্লেক্সের ভবন ও চিকিৎসা মেশিন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার নিশ্চিত খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তায় মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে। ইসরায়েল ধারণা করছে, এখনও প্রায় ১৩০ জন হামাসের কাছে জিম্মি আছে।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ৬২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৩ হাজার শিশুও আছে। ৮ হাজার ৬৬৩টি শিশুসহ ৭৫ হাজার ৯২ জন আহত হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা