প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৫১ পিএম
বন্যার সময় উদ্ধারকর্মীরা নৌকায় করে একজন বাসিন্দাকে সরিয়ে নিচ্ছেন। রাশিয়ার উরাল পর্বতমালার দক্ষিণ প্রান্তের দক্ষিণ-পূর্বে ওরস্ক শহরে। ছবি : সংগৃহীত
কাজাখিস্তান সীমান্তে বাঁধ ভেঙে বন্যা হওয়ায় রাশিয়ায় চার হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (৬ এপ্রিল) ওরেনবার্গ অঞ্চল থেকে তাদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ওরেনবার্গ গভর্নরের কার্যালয় শনিবার বলেছে, শুক্রবার (৫ এপ্রিল) মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে বাঁধটি ভেঙে পড়ে। এতে আড়াই হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ হাজার ১৯ জন শিশুসহ মোট ৪ হাজার ২০৮ জনকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
গভর্নর ডেনিস পাসলার বলেছেন, ‘বন্যা তার ‘সর্বোচ্চ সীমায়’ পৌঁছেছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী শহর ওরস্কের পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে। সেখানে ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের বাস।’
শনিবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুধু ওরস্কেই প্রায় ২ হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওরস্ক উরাল পর্বতমালার ওরেনবার্গ অঞ্চলে অবস্থিত।
সংশ্লিষ্ট বিষয় সংক্রান্ত স্থানীয় অফিস জানিয়েছে, দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বাঁধটি ভেঙে গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরো অঞ্চল জুড়ে পরিস্থিতি কঠিন। প্রধান শহর ওরেনবার্গে উরাল নদীতে বিপজ্জনক পানির স্তর সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে।
বসন্তের শুরুতে ইউরাল ও পশ্চিম সাইবেরিয়ার বেশ কয়েকটি অঞ্চল বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও কাজাখস্তানের কিছু অংশও বন্যার কবলে পড়েছে।
কাজাখিস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ বলেছেন, ‘এটি হয়তো গত ৮০ বছরের মধ্যে কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই বড় আকারের বন্যা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’
রাশিয়া ২০১৪ সালে নির্মিত বাঁধ ভাঙা নিয়ে ‘অবহেলা ও নির্মাণ নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের’ অভিযোগে একটি ফৌজদারি মামলাও করেছে।
সূত্র : আলজাজিরা