গাজায় নেই ঈদের আমেজ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪৬ পিএম
রমজান মাসের শেষ দিকে এসে ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার গাজায় ঈদুল ফিতর উৎসব উদযাপিত হওয়ার কথা। কিন্তু ছিটমহলটির বাসিন্দাদের মধ্যে নেই উৎসবের কোনো আমেজ নেই। তারা অন্য দেশগুলোর পাঠানো ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছে। পরিচয়পত্র হাতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘের বিতরণ কেন্দ্রগুলো থেকে দেওয়া ত্রাণ বাক্স গ্রহণ করছে।
গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর দাইর আল-বালাহ এক শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা ফায়েজ আব্দেলহাদি। তিনি বলেন, ‘পর্যাপ্ত খাবার নেই। দুই মাস ধরে আমি কোনো ত্রাণ বাক্স পাইনি। গতকাল আমরা একটি বাক্স পেয়েছিলাম। কিন্তু সেটি আমার ও আমার সন্তানদের এবং আমাদের সঙ্গে থাকা ১৮ জন মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। একজন যদি প্রতিদিন একটি করে বাক্সও পায় তাহলেও তা পর্যাপ্ত হবে না।’
তিনি জানান, বিতরণ করা ত্রাণে খাবার থাকলেও সাবান ও ডিটারজেন্টের মতো প্রাথমিক স্বাস্থ্য পণ্য নেই।
ইসরায়েলের হামলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে গাজায় জনস্বাস্থ্য সংকট দেখা দিয়েছে। পরিষ্কার পানির অভাবে রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ছে।
উত্তর গাজার নিজ বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে জাতিসংঘের এই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন উম্মে মোহাম্মদ হামাদ। দুই মাস ধরে এখানে আছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা এতদিন কোনো ত্রাণ বাক্স পাইনি, কোনো সাহায্য পাইনি। শুধু আজ তারা ত্রাণ বাক্স বিতরণ শুরু করেছে।’
গাজার অনাহারে থাকা লোকজন অপুষ্টি ও পানি শূন্যতার শিকার হয়ে হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছে। কিন্তু সেখানেও পর্যাপ্ত রসদ নেই। এখানেও ওষুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর ও বৈচিত্রময় খাবারের অভাবই সবচেয়ে বড় সমস্যা।
ইসরায়েলের ছয় মাস ধরে চলা বিমান ও স্থল হামলায় ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির বাসিন্দারা দুর্ভিক্ষের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে।