প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৩৩ এএম
ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এই হামলার আগে-পরে ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিল তেহরান।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নিষেধাজ্ঞার বিবৃতিতে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ড্রোন উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ১৬ ব্যক্তি ও দুটি সংস্থাকে ঘিরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। এ ছাড়া ইরানের খুজেস্তান স্টিল কোম্পানির পণ্য উৎপাদন এবং ক্রয়ে সংশ্লিষ্ট পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডকে সহযোগিতা করা বহমান গ্রুপের তিন সহযোগী প্রতিষ্ঠানও।
যুক্তরাজ্যও ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত দেশটির সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা নিহতের বদলা হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়।
বড় ধরনের এই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান। এগুলোর বেশিরভাগই আকাশে ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলা রুখতে ইসরায়েলকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান।
এই হামলার জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, নিজেদের সুরক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। এদিকে ইরান বা মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো স্থাপনায় ‘সামান্যতম’ হামলা চালানো হলেও ‘ব্যাপক ও কঠোর’ পাল্টা হামলার ঘোষণা বুধবার পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, ‘আজকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় এবং অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিতে দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
ইরানের মারাত্মক কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো ব্যাহত ও নস্যাৎ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক উপকরণগুলো (টুল) ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামী দিন ও সপ্তাহগুলোতে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষগুলোর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।