৪৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৩ ১৫:৩৫ পিএম
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৩ ১৭:৩২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার কিছু খাতা তৃতীয় পরীক্ষকদের ১৫ দিনের মধ্যে মূল্যায়ন করে জমা দেওয়ার জন্য বলেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পিএসসি বলেছে, ৪৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বেশ কিছু খাতা তৃতীয় পরীক্ষকদের কাছে মূল্যায়ন করার জন্য দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পরীক্ষকদের খাতা দিতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। তবে খাতা দেখা শেষ করতে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যেই এসব খাতা দেখা শেষ করে পিএসসিতে জমা দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, অনেকগুলো বিসিএসের কাজ চলমান। এর মধ্যেই ৪৩তম বিসিএসের খাতা তৃতীয় পরীক্ষকদের দেওয়া হচ্ছে। আরও কয়েক দিন সময়ের মধ্যে সব খাতা দেওয়া শেষ হবে। যাদের খাতা দেওয়া হচ্ছে, তাদের ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যেই খাতা দেখতে সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। সব খাতা পেলে দ্রুতই লিখিত পরীক্ষার ফল দিয়ে ভাইভার দিন দেওয়া হবে। এটিতে বেশি সময় নেওয়া হবে না।
পিএসসি সূত্র জানায়, ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতায় দুই পরীক্ষকের দেওয়া নম্বরে ২০ শতাংশ বা তার অধিক পার্থক্য থাকায় তৃতীয় পরীক্ষক খাতা দেখছেন। লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা শেষ হওয়ার পরে ফল দেওয়া হবে। এ ছাড়া মৌখিক পরীক্ষাও দ্রুত সময়ে শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে পিএসসির।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল মার্চে প্রকাশ করার কথা ছিল। এ সময় লিখিত পরীক্ষার খাতায় কিছু ত্রুটি দেখা দেয়। পরে আবার চূড়ান্ত যাচাই–বাছাই করার সময় ভুল ধরা পড়ে। এতে দেখা যায়, প্রথম পরীক্ষক ও দ্বিতীয় পরীক্ষক যে নম্বর দিয়েছেন, তার পার্থক্য ২০ শতাংশ বা তার অধিক। পরে খাতা তৃতীয় পরীক্ষক দেখেন। বিশ্ববিদ্যালয় বা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এই নিয়ম আছে।
পিএসসির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানায়, ২০ শতাংশ বা এর অধিক নম্বরের পার্থক্য হওয়া খাতার সংখ্যা ১০ হাজারের মতো। এটিও ৪১তম বিসিএসের পুনরাবৃত্তি বলে জানা গেছে। ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় পরীক্ষকদের গাফিলতিতে প্রায় ১৫ হাজার খাতায় নম্বরের পার্থক্য ছিল। সে সময় পিএসসি এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছিল। সেখানে ৩১৮ পরীক্ষকের গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছিল।
৪৩তম বিসিএসের নম্বরের পার্থক্য থাকায় ফল প্রকাশের দেরির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পিএসসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪১তম বিসিএসে ১৫ হাজারের বেশি খাতায় নম্বরের পার্থক্য ছিল। এবারে ৪৩তম বিসিএসে ১০ হাজার। বিষয়টি খেয়াল করলে দেখা যাবে ভুলের পরিমাণ কমছে। মূলত, পিএসসি লিখিতের খাতা দেখার আগে পরীক্ষকদের সেমিনারে সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। সেটির ফলাফল পাওয়া গেছে। ভুলের পরিমাণ কমেছে। তবে এই ভুল যাতে আরও অনেক বেশি কমানো যায়, সেজন্য পিএসসি কাজ করছে।
ফলের বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির একজন সদস্য জানান, দ্রুত ভুল সংশোধনের কাজ করা হচ্ছে। পরীক্ষকেরা নির্ভুলভাবে ফল দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন। দ্রুতই ফল প্রকাশিত হবে। এ ছাড়া ফল প্রকাশের পর মৌখিক পরীক্ষার শুরুতে বেশি সময় নষ্ট করা হবে না। সেজন্য শিগগিরই মৌখিক পরীক্ষার তারিখও জানিয়ে দেওয়া হবে।