হেফাজত নেতা মুফতি হারুনের জামিন বহাল

হেফাজত নেতা মুফতি হারুন ইজাহারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) তার জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মো.নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি জানান, ২০১৩ সালের মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় মুফতি হারুন ইজহারকে গত বছরের ৩ জানুয়ারি জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে এই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে তার জামিন স্থগিত করেছিলেন চেম্বার আদালত। সেই থেকে জামিন স্থগিত ছিল। 

এদিকে গত বছরের ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় মুফতি হারুন ইজহারকে এক বছরের জামিন দেন হাইকোর্ট। 

২০২১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনার মামলায় হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরার আদালত। 

ওই বছরের ২৮ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে মুফতি হারুন ইজহারকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭। গ্রেপ্তারের পর ওই বছরের ২৬ ও ২৭ মার্চ হাটহাজারীজুড়ে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় করা তিন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মুফতি হারুন ইজহার ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলামের ছেলে।

২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার মাদরাসায় হ্যান্ডগ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে তিনজন মারা যান এবং পাঁচজন আহত হন। পরে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চারটি তাজা গ্রেনেড, ১৮ বোতল অ্যাসিড ও গ্রেনেড তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করে। ওই ঘটনায় হারুন ইজহার গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান।