প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩ ২০:৪৮ পিএম
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩ ২১:০৫ পিএম
নিখিল রঞ্জন ধর।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় জামিন পাননি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধর। জামিন আবেদন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। নিখিলের বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সোমবার (২০ মার্চ) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান মজুমদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন নিখিল রঞ্জন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে নিখিলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। একই সঙ্গে মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তেজগাঁও জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর শামীম আহমেদ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ৫ ফেব্রুয়ারি ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেন আদালত। নিখিল রঞ্জন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ৫ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনি।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল, অফিস সহায়ক দেলোয়ার হোসেন, কর্মচারী রবিউল আউয়াল, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, সোহেল রানা, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, আব্দুল্লাহ আল জাবের, রুপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন, পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপন, রাশেদ আহম্মেদ বাবুল, জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ ও রবিউল ইসলাম রবি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) পদে ১ হাজার ৫১১ জনকে নিয়োগ দিতে ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এটি তৈরি ও পরীক্ষা সম্পাদনের দায়িত্বে ছিল আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর ৫ নভেম্বর রাতে পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের (ডিবি) কাছে আসে। পরীক্ষার দিন সকালে কৌশলে চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে মূলহোতা রাইসুল ইসলাম স্বপনকে প্রশ্নপত্রসহ আটক করে ডিবি।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রুপালী ব্যাংকের সাভার শাখার সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলনকে শ্রীনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিলনের দেওয়া তথ্যে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহকারী শামসুল হক শ্যামলকে গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডা থেকে। পরে ১০ নভেম্বর রাতে চক্রের আরও ৩ সদস্য সোহেল, খোকন ও জাহিদ গ্রেপ্তার হন। মামলার তদন্তে ঘটনার সঙ্গে নিখিল রঞ্জনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য উঠে আসে।