মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ১৩:৪৬ পিএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ১৩:৫৪ পিএম
প্রতীকী ছবি
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে শিশু ধর্ষণ মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিকে আদালতে উপস্থিত করা হয়েছিল।
সাজাপ্রাপ্তের নাম শফিকুল ইসলাম। তিনি করিমগঞ্জ উপজেলার পিটুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি এম এ আফজল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারের বরাতে তিনি জানান, পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতেন। ২০২১ সালের ২০ আগস্ট রাতে শিশুটি প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হয়। এসময় সেখানে উৎপেতে থাকা শফিকুল শিশুটির মুখ চেপে ধরে একটি ঝোঁপে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে টয়লেট থেকে ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হন। একপর্যায়ে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে শফিকুলকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দেন।
এ ঘটনার পরদিন সকালে শিশুটির মা শফিকুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
২০২২ সালের ১৯ আগস্ট করিমগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুজ্জামান লিংকন মামলাটির তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। শুনানি শেষে শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
এম এ আফজল বলেন, শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই আইনের ৯ (১) ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরোপিত অর্থদণ্ড ভিকটিমের ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য হবে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির কাছ থেকে বা তার বিদ্যমান সম্পত্তি থেকে আদায় করা সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে তিনি যে সম্পদের মালিক বা অধিকারী হবেন, সে সম্পদ থেকে বিধিমোতাবেক আদায়যোগ্য হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।