মাদারীপুরে রাজীব হত্যায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

মাদারীপুরে ২০১২ সালে রাজীব সরদার নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ২২ আসামিকে আদালতে উপস্থিত করা হয়েছিল।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল হাই হাওলাদার, আব্দুল হক হাওলাদার, জহিরুল হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার, রাজা হাওলাদার, কালু হাওলাদার, সোবহান হাওলাদার, তুষার শরীফ, ইউসুপ হাওলাদার, আজিজুল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, রেজাউল হাওলাদার, শামিম হাওলাদার, আহাদ হাওলাদার, দলিলউদ্দিন হাওলাদার, অলিলউদ্দিন হাওলাদার, জসিম হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সুমন শরীফ, সাগর শরীফ, হাফিজুল কাজী, কালু কাজী, আলাউদ্দিন কাজী।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সেকেন হাওলাদার, উজ্জ্বল হাওলাদার, জামাল হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার, নুরুল আমিন হাওলাদার, বাকিবিল্লা হাওলাদার।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান সিংহ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

মামলার নথির বরাতে তিনি জানান, ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজীব সরদার। পৌর শহরের হরিকুমারিয়া এলাকায় এলে পূর্ব শত্রুতার জেরে অভিযুক্তরা রাজীব সরদারকে দেশি অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাজীব সরদারকে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।  

এ ঘটনার তিন দিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।

২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপপরিদর্শক রাজিব হোসেন তদন্ত শেষে ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ জমা দেন। আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। পরে মঙ্গলবার আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।