× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা

আরাভ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্য শেষ

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ২১:৪১ পিএম

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ২২:০৮ পিএম

পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। সংগৃহীত ফটো

পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। সংগৃহীত ফটো

পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে বাদী জাহাঙ্গীর আলম খানের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ঢাকা প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

এদিন কারাগারে থাকা ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে মামলার বাদীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। জেরা শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ জুন দিন ধার্য করেন আদালত। রাষ্ট্র নিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. রুহুল আমিন বিষয়টি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সুরাইয়া আক্তার কেয়া, রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান। তাদের মধ্যে আরাভ ওরফে রবিউল ও কেয়া পলাতক রয়েছেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপর দুই আসামি মেহেরুন্নেছা ও মীমের বিচার হচ্ছে শিশু আদালতে।

এর আগে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।

২০১৮ সালের ৭ জুলাই বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। ঘটনার তিন দিন পরে তার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় রহমত উল্লাহ ও রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আদালত বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, বনানীর ২ নম্বর সড়কের ৫ নম্বরের একটি বাসায় নিয়ে আসামি দিদার, স্বপন, রহমত উল্লাহ পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে ওই তিন আসামির সঙ্গে মিজান, আতিক ও ছারোয়ার যুক্ত হয়ে মামুনকে নির্দয়ভাবে মারতে থাকে। এতে মামুন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে আসামি কেয়া (রবিউলের স্ত্রী), আফরিন ও মীম বাসা থেকে চলে যায়।

রাতের কোনো একসময় সেখান থেকে চলে যায় রবিউলও।

গভীর রাতে আসামি আতিক আসামি স্বপনকে ডেকে বলে, ‘দেখুন পুলিশ কর্মকর্তার হাত-পা কেমন শক্ত মনে হচ্ছে। ভোরবেলায় তারা নিশ্চিত হয় যে মামুন মারা গেছেন। এরপর রহমত উল্লাহ সবাইকে বলে, লাশ গুম না করলে তারা সবাই বিপদে পড়ে যাবে। কারণ মামুন তার বন্ধু। সে-ই মামুনকে ফোনে ডেকে এনেছে। রহমত উল্লাহর মুঠোফোনের শেষ কলটিও মামুনের। তখন স্বপন মুঠোফোনে রবিউলকে মামুনের মৃত্যুর বিষয়টি জানায়। স্বপন বলে, ‘এখন আমরা কী করব? আপনি সকালে এখানে আসেন।’

চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, দুটি বস্তা ও একটি সাদা কাপড় নিয়ে বাসার নিচে আসে রবিউল। তার কাছ থেকে বস্তা নিয়ে বাসার ওপরে যায় দিদার। এ সময় রহমত উল্লাহ, আতিক ও মিজানকে সঙ্গে নিয়ে বাসার নিচে গিয়ে তার ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি লিফটের দরজার কাছে নিয়ে রাখে। সকাল ৭টার দিকে স্বপন, দিদার ও আতিক মিলে মামুনের লাশ লিফটে করে নিচে নামায়। সবাই মিলে গাড়ির পেছনের অংশে লাশ তোলে। পরে রহমত উল্লাহ ওই গাড়ি চালিয়ে বনানী রোডে যায়। তখন গাড়িতে ছিল দিদার, স্বপন ও আতিক। সেখানে রবিউল, তার স্ত্রী আসামি কেয়া, মেহেরুন্নেছা ও মীমকে সঙ্গে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলসহ অপেক্ষায় ছিল। পরে সেখান থেকে রবিউলের মোটরসাইকেল অনুসরণ করে রহমত উল্লাহ গাড়ি চালাতে থাকে।

খিলক্ষেতের একটি পাম্পে গিয়ে মোটরসাইকেলে তেল নিয়ে রবিউল ফিরে আসে। আর গাড়ি নিয়ে রহমত উল্লাহ যায় গাজীপুরের দিকে। এ সময় রবিউলের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে কথা বলে দিদার ও স্বপন। গাজীপুরের শিমুলতলীতে দিদার, স্বপন ও আতিক একটি দোকান থেকে সাত লিটার পেট্রোল কেনে। রবিউল আসামি স্বপনের মুঠোফোনে তেলের টাকা পাঠায়।

পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উলুখোলা থেকে আবদুল্লাহপুর যাওয়ার পথে একটি বাঁশবাগানে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে মামুনের লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর গাড়ি নিয়ে সবাই ঢাকায় ফিরে আসে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা