মানিকগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৩ ২৩:০২ পিএম
আপডেট : ০৬ মে ২০২৩ ২৩:২৯ পিএম
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হযরত আলী বেপারী। প্রবা ফটো
মানিকগঞ্জে চাঞ্চল্যকর রোকসানা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হযরত আলী বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (৬ মে) দুপুরে অভিযান চালিয়ে সাভার থানা রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৪ কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরিফ হোসেন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হযরত আলী গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য ২০২০ সালের শেষের দিকে গাজীপুর চলে আসেন। গত ৩ বছর সজীব আহম্মেদ নাম ব্যবহার করে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। বর্তমানে হযরত আলী তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুর সদর উপজেলায় বসবাস করছিলেন। তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক। সর্বশেষ তিনি গাজীপুরে লোহার ব্যবসা করছিলেন।
হযরত আলী ২০০১ সালে একই গ্রামের মন্নাফ বেপারীর মেয়ে রোকসানা আক্তারকে প্রেম করে বিয়ে করেন। এই বিয়ে হযরত আলীর পরিবার মেনে নেয়নি। ওই সময় তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। সন্তান জন্মের কিছুদিন পর থেকেই হযরত আলী ও তার পরিবার যৌতুকের দাবিতে রোকসানাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।
২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হযরত আলী তার মা-বাবাকে নিয়ে রোকসানার বাবার বাড়ি গেয়ে যৌতুক দাবি করেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। ওইদিন রাতে হযরত আলী ও তার মা-বাবা মিলে রোকসানাকে হত্যা করে রোকসানার চাচার ঘরের বারান্দার আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় রোকসানার বাবা মন্নাফ বেপারী বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় হযরত আলীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এ মামলায় হযরত আলী চার বছর জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পায়। পরে আদালতে স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রোকসানাকে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন হযরত আলী বেপারীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ের পর থেকে আসামি হযরত আলী ৩ বছরের বেশি সময় ধরে পলাতক ছিলেন।