আদালত প্রাঙ্গণে বাদীকে হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি, ৪ জনের যাবজ্জীবন

সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে মামলার বাদীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন এই রায় দেন। 

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাল গ্রামের মো.ফয়েজ আহমেদ। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন, জগন্নাথপুর উপজেলা গলাখাল গ্রামের মো. সাজিদ মিয়া, মো. সেবুল মিয়া ওরফে সাজ্জাদ, মো. ইসরাইল আলী মারজান ও একই এলাকার মো. এহসানুল করিম শাহান। 

রায় ঘোষণার সময় ফয়েজ আহমেদ ও সেবুল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজিদ মিয়া জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন এবং এহসানুল করিম, ইসরাইল আলী মারজান হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খায়রুল কবির রুমেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার নথির বরাতে তিনি জানান, জমি-সংক্রান্ত বিষয়ে মিয়া ফয়েজ আহমেদ ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন মিজানুর হোসেন ওরফে খোকন মিয়া। ২০২২ সালের ২১ জুলাই মামলার হাজিরা দিতে আদালতে যান ফয়েজ আহমেদ ও তার লোকজন। হাজিরা শেষে বাদী খোকন মিয়া আইনজীবী সমিতির সামনে গেলে আসামি ফয়েজ তার সহযোগীদের নিয়ে প্রকাশ্যে খোকন মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা আইনজীবী ও জনতা মিলে তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফটিক মিয়া মামলা করেন।

আইনজীবী খায়রুল কবির বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার এক বছর পর আদালত আজ রায় দিয়েছেন। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিরও নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’