প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৫:২৩ পিএম
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৯ পিএম
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরকে ধর্ষণ মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৯ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। বড় মনিরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী আদালতকে বলেন, বড় মনির প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিচার চাইতে এসে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। শিশুর ডিএনএ টেস্ট করতে নমুনা সংগ্রহে বাধা দিচ্ছেন তারা।
এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীদের ডিএনএ টেস্ট করতে সহযোগিতা করতে বলেন।
গত ৯ জুলাই ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন আদালত। ২১ আগস্ট ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট আপিল বিভাগে দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
গত ১১ জুলাই বিচারপতি শেখ জাকির হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বড় মনিরকে জামিন দেন। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ১৫ মে ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের জামিন নাকচ করে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল মহসীন কারাগারে পাঠান।
গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই এবং জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব।
গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়। এজাহারে ওই কিশোরী ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। মামলায় গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়।
কিশোরীকে অন্তঃসত্ত্বার প্রমাণ পেয়েছে মেডিকেল বোর্ড। এ ছাড়া ওই কিশোরী ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। পরে ওই কিশোরী সন্তানের জন্ম দেন।