প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০২ পিএম
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৪৫ পিএম
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিল না করাকে কেন্দ্র করে আদালতে তর্কে জড়িয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানিতে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আদালত বার বার আদেশ দেওয়ার পরও দুদক আদালতে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করছে না। দুদক এক ধরনের মোকারি করছে। এ সময় দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, প্রতিবেদন প্রস্তুত আছে। এখন কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আমরা যেনতেন প্রতিবেদন জমা দিতে পারি না। বিচার বিশ্লেষণ শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এজন্য সময়ের প্রয়োজন।
এর প্রেক্ষিতে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একই কথা আদালতে বার বার বলছেন। হাইকোর্টের আদেশের চেয়ে কি দুদক কমিশনারদের বৈঠক বড় হয়ে গেল? দুদকের সদিচ্ছা থাকলে প্রতিবেদন দাখিলে এত সময় নেওয়ার কথা না। দুদক আদালতের আদেশ মানছে না। এ কারণে দুদকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হওয়া উচিত।
পরে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষ শান্ত হন। একই সঙ্গে সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান প্রতিবেদন আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল না করলে দুদকের আদালত অবমাননা হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
গত ২০ জুলাই জানানো হয়, সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ করেছে দুদক গঠিত অনুসন্ধান টিম। অনুসন্ধান প্রতিবেদন দুদক কার্যালয়ে দাখিল করা হয়েছে; যা এখন পর্যালোচনাধীন। কমিশন অনুমোদন দিলেই এ প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হবে।
অনুসন্ধান কমিটির টিম লিডার ও দুদকের উপ-পরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বাফুফে সহ-সভাপতির দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে দুদক।
গত ১৬ জানুয়ারি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত মূল নথি ও এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন এফিডেভিট করে এক সপ্তাহের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।