প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:১০ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৮ পিএম
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। ফাইল ছবি
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে কাউকে খুশি করার জন্য দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নিজ অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিবৃতি পাঠিয়েছেন বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী রয়েছেন। শিকাগোভিত্তিক জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান সিজিয়ন পিআর নিউজওয়্যার তাদের ওয়েবসাইটে গত ২৮ আগস্ট এই চিঠি প্রকাশ করে।
গতকাল সোমবার হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া।
এমরান বলেন, ‘আমি মনে করি, ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি।’
এর বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে, এমন দাবি করে রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না।’
এমরানের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমি একদম নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আমাদের অফিস থেকে এই ধরনের কোনো বিবৃতি প্রস্তুত হয়নি। গতকাল ওনার (এমরান) ছুটি ছিল। ডিউটি ছিল না। উনি দেখলাম স্যুট-টাই পরে চলে এসেছেন। অফিসে আসেননি, যেখানে রেগুলার ব্রিফিং করা হয়, সেখানে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে উনি কতগুলো কথা বললেন। কী কারণে বললেন, কোন উদ্দেশ্যে বললেন, আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন। কাকে খুশি করার জন্য কথাগুলো বললেন, আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন।’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘নিশ্চিত থাকেন, অন্য কাউকে খুশি করার জন্য তিনি (এমরান) এটা করেছেন, এই বক্তব্য দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম দিনই বলে দিয়েছি, উনারা (ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি) যে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, সেই স্টেটমেন্ট সঠিক হয়নি। কারণ উনারা তথ্যটা জানতেন না। আমাদের সর্বোচ্চ আদালতে দুইবার ড. ইউনূসের আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়েছে। তারপর শুনানি হবে ওখানে। সর্বোচ্চ বিচারিক আদালত যখন বলে এটা হবে, তখন প্রশাসনিকভাবে এটা কেউ প্রত্যাহার করতে পারে? আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, যারা বিবৃতি দিয়েছেন, তারা ঘটনাগুলো পুরো জানেন না।’
আমিন উদ্দিন আরও বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল বলার পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের আর সই করার দরকার পড়ে? অ্যাটর্নি জেনারেল বলা মানে এই অফিস বলেছে।’