চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:০২ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩৭ পিএম
দুটি ঋণখেলাপি মামলায় স্ত্রী-পুত্রসহ দুই ব্যবসায়ীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। একই আদেশে পাঁচ আসামিকে পাসপোর্টসহ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম শাহেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি জানান, দুটি ঋণখেলাপি মামলায় ৫ বিবাদীর বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের মামলায় ব্যবসায়ী সামশুল আলম ও তার স্ত্রী-পুত্রের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের আরেকটি মামলায় মেসার্স এক্সিমকের মালিক ব্যবসায়ী কবির উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, আদালতের অনুমতি ছাড়া তারা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নিতে ইমিগ্রেশন পুলিশকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন—মেসার্স এসএ এন্টারপ্রাইজের মালিক সামশুল আলম, তার ছেলে মো. মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম; মেসার্স এক্সিমকের মালিক ব্যবসায়ী কবির উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী শাম্মী কবির। আসামিদের কাছে দুটি ব্যাংকের দায় ৭৮ কোটি টাকা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী সামশুল আলম তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএ এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স সামশু স’ মিলের নামে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড তিনিসহ তার ছেলে ও স্ত্রীর নামে মামলা করে। তাদের কাছে ব্যাংকের ঋণ ৬৬ কোটি টাকা। বিপুল এই ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি হস্তান্তর করে দেওয়ায় ঋণ আদায়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন—এমন আশঙ্কা জানিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। পাশাপাশি ২০ সেপ্টেম্বর তিন আসামিকে পাসপোর্টসহ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে ১১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে মেসার্স এক্সিমকের মালিক ব্যবসায়ী কবির উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী শাম্মী কবিরের বিরুদ্ধে মামলা করে ন্যাশনাল ব্যাংক। ঋণের বিপরীতে সম্পত্তি বন্ধক না থাকায় বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন জানিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিবাদীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই আদেশে আদালত দুই আসামিকে ১৮ সেপ্টেম্বর পাসপোর্টসহ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।