সুলতান’স ডাইন নিয়ে অপপ্রচার
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:১৪ পিএম
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৩৯ পিএম
সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি। সংগৃহীত ফটো
সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানি নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালানোয় কনক
লায়লা ও আবদুল হাকিম নামে দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ
ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এতে
বলা হয়, সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে খাসির মাংসই ছিল।
কুকুর-বিড়ালের মাংস ছিল না। অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি বেসরকারি যমুনা ব্যাংকের
খণ্ডকালীন কর্মকর্তা ছিলেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
(সিএমএম) আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম উদ্দিন।
সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসের পরিবর্তে কুকুর-বিড়ালের মাংস
দেওয়ার মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে ৩ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালতে নালিশি মামলা
করেন সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখার ম্যানেজার কামাল
আহমেদ। আদালত অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট
দিল পিবিআই।
চার্জশিটে
বলা হয়, সুলতান’স ডাইন খাসির মাংসের কাচ্চি বিরিয়ানিই
সরবরাহ করেছিল। কনক লায়লা ও আবদুল হাকিম ইচ্ছাকৃতভাবে এই অপপ্রচার চালিয়েছিলেন যে কাচ্চিতে খাসির মাংসের বদলে কুকুর-বিড়ালের মাংস খাওয়াচ্ছে, যা দণ্ডনীয় অপরাধ।
মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।
যমুনা
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানি নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য ফেসবুকে
প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে খণ্ডকালীন কর্মকর্তা কনক লায়লা ও আবদুল হাকিমকে চাকরিচ্যুত
করা হয়েছে।
চার্জশিটে বলা হয়, গত ২ মার্চ সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখায় সাতটি হাফ (অর্ধেক) কাচ্চি বিরিয়ানি পার্সেল
অর্ডার দেন যমুনা ব্যাংকের বনানী শাখার তৎকালীন কর্মকর্তা কনক
লায়লা। ওই দিন দুপুরে টাকা পরিশোধ করে তিনি খাবার নিয়ে যান।
বেলা আড়াইটার দিকে কনক লায়লা সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখায় ফোন দেন। খাবার নিয়ে
সুলতান’স ডাইনের সহকারী জেনারেল
ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ করেন।
পরে গুলশান
শাখার ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ দুই প্যাকেট কাচ্চি বিরিয়ানি নিয়ে যমুনা ব্যাংকের
বনানী শাখায় যান। তখন কনক লায়লা সুলতান’স ডাইনের কর্মকর্তা কামালের কাছে অভিযোগ করেন, কাচ্চিতে
খাসির মাংসের পরিবর্তে কুকুরের মাংস দেওয়া হয়েছে। তিনি কামালকে
হুমকি দিয়ে বলেন,
র্যাব ডেকে ধরিয়ে দেবেন। কামালকে যমুনা ব্যাংকের নিচতলায়
আটকে রাখা হয়। তার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন
আবদুল হাকিম। একপর্যায়ে সুলতান’স ডাইনের লোকজন গিয়ে কামালকে উদ্ধার করেন।
ঘটনার
তিন দিন পর ৫ মার্চ কনক লায়লা ফেসবুকে লেখেন, ৩ মার্চ সুলতান’স ডাইন থেকে সাতটি কাচ্চি আনেন। খাওয়ার সময় মাংসের হাড় দেখে
সন্দেহ হয় তার। কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসের
পরিবর্তে কুকুর-বিড়ালের মাংস খাওয়াচ্ছে তারা। কনক লায়লার
ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি সবার নজরে আসে।
বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। এ নিয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের বার্তা বিভাগের লোকজনের
সঙ্গে কথা বলে পিবিআই।
পিবিআইয়ের
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুলতান’স ডাইনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) আশরাফুল আলম জানান, তাদের কাচ্চি বিরিয়ানিতে যে খাসির মাংস দেওয়া হয়, তার
ওজন ছয় থেকে নয় কেজি। বেশি ওজনের খাসির মাংস সেদ্ধ হয় কম। তাই সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে, বেশি
ওজনের খাসির মাংস কাচ্চিতে দেওয়া যাবে না।