প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৫৭ পিএম
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:৩২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বেআইনি সমাবেশ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার দুই মামলায় বিএনপির ৩৮ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার দায়ের করা মামলায় ২৬ নেতাকর্মীকে এবং কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় ১২ জনকে গতকাল বুধবার এই দণ্ড দেন আদালত।
২০১৮ সালে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা দায়ের করা মামলায় ২৬ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। কারাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আব্দুর রশিদ, শামসুল আলম বাবুল, প্রিন্সিপাল মো. লিয়াকত আলী, মো. পারভেজ, রমিজ উদ্দিন রমু, মিয়াজ উদ্দিন, এহসানুল হক বাবু ওরফে নুরুল আফসার বাবু, তারেকুল রাজ্জাক, নাজির উদ্দিন ওরফে দারোগা আলী, সফুর উদ্দিন ওরফে সফু, জাহিদ হাসান খান রনি, তোফাজ্জল হোসেন বাবু, আবুল হোসেন, মাঈনুল ইসলাম অমি, মো. আরিফুল ইসলাম তুহিন, তাসলিমা আক্তার ভূঁইয়া বেবী, মো. জিন্নাত আলী, মো. শাহজালাল শেখ সুমন, মো. ছাইফুল ইসলাম, মো. কবির, মো. সাদ্দাম হোসেন রাব্বি, মোমিনুল হক অপু, মো. মোশারফ হোসেন ও মো. হেলাল উদ্দিন হেলু।
আসামিদের মধ্যে ১৪ জনকে দণ্ডিবিধির ১৪৩ ধারায় ছয় মাস এবং দণ্ডবিধির ৩৩২ ও ৩৫৩ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাত আসামিকে দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ছয় মাস এবং দণ্ডিবধির ৩৩২ ও ৩৫৩ ধারায় এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আদালত নারী বিবেচনায় তাসলিমা আক্তার বেবিসহ ছয়জনকে দণ্ডিবিধির ৩৪৩, ৩৩২ও ৩৫৩ ধারায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ মামলায় কবির নামের এক আসামি কারাগারে রয়েছেন। খালাসপ্রাপ্ত হলেন মোস্তফা মিন্টু, শহিদুল ইসলাম ওরফে মিঠু, দিদারও রাজীব হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদুর রহমান ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
এছাড়া রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় পৃথক দুই ধারায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আনোয়ারুল আজিম, হায়দার আলী বাবলা, মো. আলাউদ্দিন, শওকত, পারভেজ, ইমরান হোসেন ইমু, সাঈদ আহম্মেদ রানা, হাজী ফরহাদ রানা, আরিফ হোসেন বাপ্পি, ফজলুল হক মনি, হাজী মো. নাজিম উদ্দিন ও মো. সোবহান। দণ্ডবিধির এক ধারায় তাদের এক বছর করে এবং অপর ধারায় দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে উভয় ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বেআইনি সমাবেশ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করে পুলিশ। এরপর পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।