× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪৬ এএম

আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৩৯ এএম

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা

শ্রম আইন লঙ্ঘন করে শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বহুল আলোচিত মামলায় তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। তবে এক মাসের মধ্যে আপিল করার শর্তে জামিন পাওয়ায় আপাতত জেলে যেতে হচ্ছে না তাদের। 

সোমবার (১ জানুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। 

ড. ইউনূসের সঙ্গে দণ্ড পাওয়া অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

শ্রম আইনের ৩০৩-এর ৩০৭ ধারায় শ্রম আইন লঙ্ঘনের সর্বোচ্চ সাজা ছিল ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড; যা ড. ইউনূসসহ চারজনকে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শ্রম আইনের ৩০৩-এর ৩ ধারায় মো. আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করা, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে। ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

আদালতে আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করে ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, আর বাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।

রায়ে আদালত বলেন, ‘এ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে ড. ইউসূসের অপরাধের বিচার হয়েছে, নোবেলজয়ী হিসেবে নয়।’

আর রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে দোষ করিনি, সেই দোষের শাস্তি পেলাম।’

ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায়কে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শ্রম আদালতের এ রায় অপূর্ণাঙ্গ। ড. ইউনূস আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের যে মামলা করেছিল, সেটি আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।’ তিনি বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, শ্রম আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। তারা (গ্রামীণ টেলিকম) শ্রম আইন না মেনে নিজস্ব আইন মেনেছেন। এ জন্য দুবার তাদের কারণ দর্শানো হয়। তারা কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তাদের যে ত্রুটিগুলো ছিল, সেটি তারা সংশোধন করেননি।

আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিজয় নগরের টাপা প্লাজায় শ্রম আদালত ও আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ড. ইউনূস ওই ভবনের পঞ্চম তলায় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের এজলাসে উপস্থিত হন। অন্য আসামিরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আদালতে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকারকর্মী আইরিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, আইনজীবী সারা হোসেন, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, উন্নয়নকর্মী ফরিদা আখতার প্রমুখ। আলোচিত এই রায়ের খবর সংগ্রহ করতে দেশের বিপুলসংখ্যক সংবাদকর্মীর পাশাপাশি কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিও আদালতে উপস্থিত হন।

প্রতিক্রিয়ায় ড. ইউনূস 

রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে দোষ করিনি, সেই দোষের শাস্তি পেলাম। এটাকে ন্যায়বিচার যদি বলতে চান, তাহলে বলতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘আজকে ইংরেজি বছরের প্রথম দিন। সারা দুনিয়া এটা পালন করে বছরের প্রথম দিন হিসেবে। এটা আনন্দের দিন হিসেবে সবাই উৎসব করে। আমরা আজকে আদালতে এসেছিলাম রায় শোনার জন্য। এসে মনটা ভরে গেল, আমার বহু বন্ধু-বান্ধব এখানে পেয়ে গেলাম, যাদের সঙ্গে আমার বহুদিন দেখা হয়নি।’

এ বিচার গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানের, নোবেলজয়ীর নয় : আদালত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. ইউনূসকে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া রায়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা বলেছেন, ‘এ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে ড. ইউসূসের অপরাধের বিচার হয়েছে, নোবেলজয়ী হিসেবে নয়।’

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘আসামি পক্ষের আইনজীবীরা এক নম্বর আসামির (ইউনূস) বিষয়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেলজয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু এ আদালতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে।’

বিচারক বলেন, ‘ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’

মামলার বৃত্তান্ত

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

এ মামলা বাতিলের আবেদন নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতেও গিয়েছিলেন ইউনূস। কিন্তু গত মে মাসে তার আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে গেলে মামলা চালানোর বাধা দূর হয়। এরপর চলতি বছরের ৬ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা।

গত ২২ আগস্ট থেকে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। বাদীসহ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন আসামিরা।

৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্যে ইউনূস বলেছিলেন, ‘শ্রম আইনের ২৩৪ ধারার বিধান লঙ্ঘিত হলে ২৩৬ ধারায় অনেকগুলো প্রতিকারের বিধান রয়েছে। শ্রম আইনের ২৩৬ ধারার উপরোক্ত বিষয়গুলো উল্লেখ না করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর বিবাদী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি নিজের স্বার্থে কোনো কিছু করিনি। আমি অপরাধ করিনি।’

সেদিন শুনানি শেষে ইউনূস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি তো নিজে এ প্রতিষ্ঠানের মালিক নই। আমার আদর্শ কর্মসূচিতে কোনো ত্রুটি ছিল না। এত বড় কাজ করতে গেলে কিছু ভুল হতে পারে। আমরা তো ফেরেশতা নই। কিন্তু ভুল হলে তা ইচ্ছাকৃত নয়।’

দুই পক্ষের যুক্তি

২৪ ডিসেম্বর চলে দুই পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্কের লড়াই। ইতি টানা হয় ১১ কার্যদিবসের শুনানির, যা শুরু হয়েছিল ২১ নভেম্বর।

আদালতে ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও সৈয়দ হায়দার আলী।

ইউনূসের আইনজীবীর দাবি ছিল, ‘হয়রানির জন্যই’ জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজ তৈরি করে মামলা করা হয়েছে। তিনি চার আসামির সবার খালাস চান। অন্যদিকে ইউনূসসহ আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে যুক্তিতর্ক শেষ করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী।

দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ২৪ ডিসেম্বর আদালত এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করে দেন। 

শান্তির নোবেলজয়ী থেকে দণ্ডিত আসামি

ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টাকে ‘শান্তি স্থাপন’ বিবেচনা করে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংককে।

সরকারের অর্থায়ন ও সহযোগিতায় গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ড. ইউনূস এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০১১ সালে অবসরের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় তার পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই বছর মার্চে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন তাকে অব্যাহতি দেয়, তখন তার বয়স প্রায় ৭১ বছর। যেখানে সরকারি চাকরিতে অবসরের সীমা তখন ছিল ৫৭ বছর, আর ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের ৬৫ বছর। ইউনূস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যান এবং দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আপিল বিভাগের আদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্তৃত্ব হারান।

এরপরও তাকে পদে রাখার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক সরকারের অবস্থানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রচার শুরু করে। ইউনূসের বিষয়টি নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনায় পড়তে হয় আওয়ামী লীগ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন পরিবারের সঙ্গে ইউনূসের ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের বিষয়টি সব মহলেরই জানা। গ্রামীণ ব্যাংকের পদ নিয়ে আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই হিলারি ক্লিনটন এ ব্যাপারে সরকারকে চাপ দিয়েছিলেন বলেও সে সময় খবর প্রকাশ হয়।

অন্যদিকে শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের অভিযোগ, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ঝুলে যাওয়ার পেছনেও ড. ইউনূসের হাত রয়েছে। ইউনূস সব সময়ই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না : পররাষ্ট্র সচিব

ড. ইউনূসের কারাদণ্ডের রায় ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

রায় ঘোষণার পর বিকালে পররাষ্ট্র সচিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি না? জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘একজনের কারণে রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্কে প্রভাব না পড়াটাই স্বাভাবিক। এটি আমাদের একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়েছে, উনারও আপিল করার সুযোগ আছে। এটি একটি চলমান আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে। সুতরাং এটা নিয়ে আমি আর মন্তব্য করতে চাই না।’

ড. ইউনূসের সাজা সরকারের প্রতিহিংসার প্রতিফলন : বিএনপি

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারাদণ্ডকে সরকারের প্রতিহিংসার প্রতিফলন বলে মনে করছে বিএনপি। গতকাল সোমবার বিকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন। তিনি এই রায়কে ফরমায়েশি আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানান। 

রিজভী বলেন, ‘শ্রম আইন লঙ্ঘনের কথিত মামলায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফরমায়েশি রায়ে সোমবার ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদালত। গণভবনের এই রায়ে পুরো জাতি লজ্জিত। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে শেখ হাসিনার অব্যাহত বিষোদগার ও হুমকি প্রমাণ করে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এই রায় দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের ১৮ মে এক আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা পদ্মা নদীতে টুস করে ফেলে দিয়ে হত্যা করার হুমকি দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। ড. ইউনূসকে পদ্মা সেতু থেকে পানিতে ফেলে চুবিয়ে মারার হুমকি দিয়েছিলেন। তখন থেকেই স্পষ্ট হয়, ড. ইউনূসকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। দেশে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচারের হোতা, লুটেরা, ব্যাংক ডাকাত, ঋণখেলাপিদের কিছুই হয় না। সম্পূর্ণ সাজানো-গোছানো রায়ে সাজা দেওয়া হয় ড. ইউনূসের মতো জাতির গর্বকে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা