শেরপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪ ১৯:০৭ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৪ ২০:৩৪ পিএম
দেশ রূপান্তরের শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানা।
দৈনিক ‘দেশ রূপান্তর’-এর শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানা জামিন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেবুন নাহার এই আদেশ দেন।
নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি প্রকল্পের তথ্য চেয়ে আবেদন করেন সাংবাদিক রানা। ৫ মার্চ তিনি আবেদনের রিসিভ কপি চাইতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান।
কপি না দিয়ে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, কাগজপত্র তছনছ ও একজন নারী কর্মকর্তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রানাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাবুল আরিফ।
এ ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে, তথ্য চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনের নির্দেশের কারাদণ্ড দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিহাবুল আরিফ বলেছিলেন, ‘সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানাকে সরকারি অফিসে অনুপ্রবেশ করে হট্টগোল, সরকারি কাজে বাধা, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও অসদাচরণের অভিযোগে দণ্ডবিধির ১৮৬০-এর ১৮৮ ধারায় এবং একজন নারী কর্মচারীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, ‘সাংবাদিক রানা তথ্য চেয়ে আবেদন করতে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি তখনই তথ্য চান। আমি তাকে বলি, এখন আমার মিটিং আছে। তথ্য দেওয়ার জন্য আমার হাতে ২০ দিন সময় আছে। কিন্তু রানা সিএ শীলার কাছে থাকা ওই তথ্যের ফাইল টানাটানি করেন এবং নানা ধরনের অশালীন ভাষায় কথাবার্তা বলেন। তিনি অসদাচরণ করেছেন। এতে অফিসের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। তাই আমি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে বলেছি।’
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার কারাদণ্ড সুষ্ঠু তদন্তের ওপর জোর দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। পাশাপাশি তিনি বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার মো. আব্দুল মালেকের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টির খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এ সময় ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের ওপর জোর দেন প্রতিমন্ত্রী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করেন তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক। সোমবার এ বিষয়ে তথ্য কমিশনে তিনি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।