ঝিনাইদহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪ ১৮:৫০ পিএম
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৪ ২০:১২ পিএম
ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালত। প্রবা ফটো
ঝিনাইদহে এক শিশুকে পাচারের দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে তারা আরও ছয় মাস কারাভোগ করবেন।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরের দিকে ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নলপাড়া গ্রামের রওশনারা বেগম, ছানোয়ার হোসেন ও বাপ্পী হোসেন। তারা পলাতক রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে আদালত সূত্র।
এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক পরিচয়ের সূত্রে আসামিরা ঝিনাইদহ সদর থানার সোনারদাইড় গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। তারা বিভিন্ন সময় ওই ব্যক্তির ১৩ বছরের কন্যাকে ভালো বেতনে সেলাই মেশিনের কাজ পাইয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেন। ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর স্থানীয় কয়েকজনের সামনে তাদের কাছে মেয়েকে সেলাই মেশিনের চাকরির জন্য দেন ওই ব্যক্তি। তিন মাস মেয়ের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ ছিল। এরপর আসামিদের কাছে মেয়েকে ফেরত চাইলে তারা নানা কথা বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১২ সালের ১৩ মে আসামিদের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে ফেরত চাইলে টালবাহানা শুরু করেন, কোথায় আছে তা-ও জানাতে অস্বীকার করেন। পরে ওই ব্যক্তি জানতে পারেন– আসামিরা তার কন্যাকে দেশে অথবা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। এই সদর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন ওই ব্যক্তি। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইন, ২০১২-এর ৭ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বজলুর রহমান বলেন, ‘ওই ব্যক্তির কন্যা ভারতের একটি জায়গায় আড়াই বছর নিরাপদ হেফাজতে ছিল। পরে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। মামলার যে রায় হয়েছে তাতে আমরা খুশি।’