যাপিত জীবন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:২৯ পিএম
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৫০ পিএম
অফিস কিংবা ক্যাম্পাস—টুকটাক সাজগোজ করতেই হয়। থাকতে হয় টানা ৮-৯ ঘণ্টা। এ লম্বা সময়ের মাঝে নিজেকে ফ্রেশ ও সুন্দর রাখতে প্রয়োজন কিছু টিপস্। সামান্য সময় বের করে নিজেকে করে নিন পরিপাটি।
সকালে বাড়ি থেকে বেসিক একটা মেকআপ প্রায় সবাই করেন। অনেকে আবার একেবারেই মেকআপে পারদর্শী নন। তারা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন। এরপর ত্বকে অল্প বিবি ক্রিম ব্লেন্ড করে কমপ্যাক্ট বুলিয়ে নিতে পারেন। এবার যেকোনো ম্যাট পিচ বা কোরাল কিংবা মভ ব্লাশ আঙুলে নিয়ে তা আইলিডে এবং চিকবোনে ব্লেন্ড করুন। মাসকারা পরতে পারেন। ইচ্ছা হলে অল্প কাজলও লাগাতে পারেন। শেষে লাগান পছন্দের হালকা রঙের লিপস্টিক। এটা মোটামুটি সব বয়সেই মানানসই। সব পেশার মানুষই বেসিক রুটিন হিসেবে মেনে চলতে পারেন। তবে এখানেই শেষ নয়। এ মেকআপ সারা দিন বজায় রাখতে চাইলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বারবার মুখে হাত দেবেন না। এতে মেকআপ স্মাজ হয়ে যাবে। আর হাতের ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া ত্বকে চলে যেতে পারে। সেখান থেকে হতে পারে র্যাশ।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
যারা দিনের বেশিরভাগ সময়টা এসির মধ্যে কাটান তাদের ত্বকের ওপর খুবই খারাপ প্রভাব পড়ে। এসিতে থাকলে ত্বক ক্রমে শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে ত্বক রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে যায়। ত্বকে কোনো জেল্লা থাকে না। এসি থেকে নিজের ত্বক রক্ষা করতে চাইলে ২ ঘণ্টা অন্তর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। সারা দিন এসিতে থাকেন যারা তারা ওয়াটার বাইন্ডিং ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিমবেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন
অনেকে দিনের অনেকটা সময় রোদে বাইরে থাকেন বা কম্পিউটারের সামনে কাজ করেন। তারা এসপিএফযুক্ত ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। মনে হতে পারে অফিসের ভেতরে সানস্ক্রিনের আবার কীসের প্রয়োজন! প্রয়োজন আছে। কারণ কম্পিউটারের সামনে বসে বেশিক্ষণ কাজ করলেও ত্বক ট্যান হয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ইউভি রশ্মির প্রভাবে ত্বকে যে ক্ষতি হয় সানস্ক্রিনযুক্ত ময়েশ্চারাইজার তার থেকে রক্ষা করবে। শুধু তাই নয়, ত্বকের স্বাভাবিক ময়েশ্চারাইজার ব্যালান্সও বজায় রাখবে।
নজর রাখতে হবে হাত-পায়ে
তবে শুধু মুখের যত্ন নিলেই হবে না। এসিতে দীর্ঘক্ষণ থাকলে হাত ও পায়ের ত্বক ক্রমে রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রতিবার হাত ধোওয়ার পর অবশ্যই হ্যান্ড লোশন লাগাবেন। এতে হাতের ত্বকের ময়েশ্চার ব্যালান্স বজায় থাকবে। প্রয়োজনে লোশন ব্যাগে ক্যারি করুন। ২ ঘণ্টা অন্তর হাতে ভালো করে লাগিয়ে নিন। লাগাবার পর কবজি থেকে কনুইয়ের দিকে সার্কুলার মুভমেন্টে ম্যাসাজ করুন। হাতের তালুতে ক্রিম লাগাবেন। লাঞ্চের পর বা বাইরে কোথাও থেকে অফিসে ফিরে একবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। তারপর সানস্ক্রিনযুক্ত ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নেবেন। পরে কমপ্যাক্ট লাগিয়ে নিন।
কোমল থাকুক ঠোঁট
অফিসে কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যেই (বিশেষ করে যাদের দীর্ঘক্ষণ এসিতে বসে কাজ করতে হয়। কারণ দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকলে ত্বকের সঙ্গে ঠোঁটও শুষ্ক হয়ে যায়। ঘন ঘন ঠোঁট ফাটে) এসপিএফযুক্ত লিপবাম বা ময়েশ্চারাইজিং গ্লস লাগিয়ে নিন। ঠোঁট ফাটবে না। আর প্রতিবার খাবার খেয়ে মুখ ধোওয়ার পরও কিন্তু ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার বা লিপবাম লাগাতে ভুলবেন না। লিপবাম লাগানোর পর ঠোঁট দুটো ১৫-২০ সেকেন্ড সামান্য চেপে ধরুন। এতে ঠোঁটের ভেতরে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার যাবে। ঠোঁট কোমল, মসৃণ ও মোলায়েম হবে।
টিপস্