× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

হঠাৎ ত্বকের সমস্যা এবং করণীয়

যাপিত জীবন ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৪৭ পিএম

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৫২ পিএম

হঠাৎ ত্বকের সমস্যা এবং করণীয়

ত্বকে হঠাৎ করে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে? লাইফস্টাইল, ঘুমের প্যাটার্ন অথবা ডায়েটে একটু বদল হলেই ত্বকের আচরণও বদলে যাচ্ছে! আমাদের প্রতিটা ক্রিয়ার সমান এবং উল্টো প্রতিক্রিয়া পড়ে আমাদের ত্বকে। চলুন জেনে নেই ত্বকের কিছু সমস্যা ও কীভাবে করবেন সমাধান।

ঘুমের অভাবে চোখ-মুখ ফুলে যেতে পারে। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়লে তা ত্বকের মসৃণতায় প্রভাব ফেলে। আবার অ্যাকনের সমস্যা হঠাৎ বেড়ে গেলে তা হরমোনাল ইমব্যালান্সের দিকে নির্দেশ করতে পারে। দোকানে অসংখ্য প্রোডাক্টের অপশন রয়েছে ঠিকই। তবে এই সমস্যার মূলে না গেলে কোনো কিছুর চিরস্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। তাই শুধু বাহ্যিক যত্নেই সীমিত থাকলে চলবে না। আগে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। তারপর নিতে হবে যত্ন। কোনো সমস্যার নেপথ্যে সম্ভাব্য কী কারণ থাকতে পারে, তা আগে জানতে হবে।

অ্যাকনে সমস্যা বা হরমোনের গোলযোগ

এক্ষেত্রে বয়স একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। কারণ টিনএজের অ্যাকনের সঙ্গে তিরিশোর্ধ্বদের অ্যাকনের তফাত রয়েছে। বয়ঃসন্ধির অ্যাকনে ত্বকে তেল জমেও হতে পারে এটি। তবে ত্রিশ পার হলে অ্যাকনের মূল কারণ হতে পারে হরমোনাল পরিবর্তন। হরমোনের সমস্যা কি না তা বোঝার আর একটা উপায় হলো ত্বকের লালচে ভাব লক্ষ করা। হরমোনাল অ্যাকনেতে সাধারণত ইনফ্ল্যামেশনও বেশি হয়। এই ধরনের অ্যাকনে সারানোর প্রধান উপায় ত্বককে শান্ত করা। ত্বকের প্রাথমিক পরিচ্ছন্নতার দিকে লক্ষ রাখতে হবে। সঙ্গে এমন উপাদান ব্যবহার করতে হবে, যা ত্বককে ইরিটেট করবে না। বেনজোইল পারঅক্সাইড হরমোনাল অ্যাকনের পক্ষে ভালো। সেনসিটিভ ত্বকে সালফার বা উইলো বার্কের মতো উপাদানে ভালো ফল দেবে।

প্রিম্যাচিওর এজিং না সেল টার্নওভারে সমস্যা!

প্রত্যেকের ত্বকের প্রকৃতি এবং ধরন আলাদা হয়। ফলে সবার একই সময়ে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে ব্যাপারটা এমন নয়। তবে ত্রিশের শুরুর দিকে কিংবা তার আগেই যদি বলিরেখা বা ফাইন লাইনস ফুটে উঠতে শুরু করে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বকের সেল রিনিউয়ালের গতি ক্ষীণ হয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে ত্বকের কোলাজেন বুস্ট প্রয়োজন। রেটিনল ব্যবহার করতে পারেন। এএইচএ বা আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিডেও ভালো ফল পাবেন। ৫% কনসেনট্রেশনের ল্যাকটিক অ্যাসিড বা গ্লাইকলিক অ্যাসিড এএইচএ-এর মধ্যে প্রথম সারিতে পড়ে। নিয়মিত ব্যবহারও করতে পারবেন। অবশ্যই এর সঙ্গে সানস্ক্রিন (এসপিএফ ৪০ বা তার বেশি) ব্যবহার করাও জরুরি।

লালচে ভাব বাড়লে ত্বককে বাড়তি সুরক্ষা দিন

অ্যাকনে নেই, অন্য কোনো সমস্যাও নেই। তবে গালে বা থুতনিতে লালচে ভাব হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। ব্লাশের খরচ কমে গেল ভেবে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবেন না ভুলেও। সম্ভবত ত্বকের বাইরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা থেকেই লালচে ভাব বেড়েছে। এর সমাধান চাইলে ক্ষতিগ্রস্ত স্তরের রিবিল্ডিং প্রয়োজন। বেসিক ক্লেনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং রুটিন অবশ্যই ফলো করুন। তার পাশাপাশি নায়াসিনামাইড রয়েছে, এমন কোনো সিরাম ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। তবুও সমস্যা না কমলে ‘কুইক ফিক্স’ হিসেবে সবুজ কালার কারেক্টর ব্যবহার করতে পারেন। 

পাফি আইজ সমস্যা

অ্যালার্জি, ধূমপান, এমনকি অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার প্রবণতাও পাফি আইজের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। আবার ঘুমের সমস্যা থেকেও চোখের ফোলাভাব বাড়তে পারে। যদি নিয়মিত সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন, তাহলে ডায়েটারি পরিবর্তনই সম্ভবত সমস্যার কারণ। অবশ্যই খাবারের সোডিয়াম কনটেন্টের প্রতি নজর দিন। সেই সঙ্গে টাটকা ফল, সবজি এবং পরিমাণমতো পানি পান করুন। সেই সঙ্গে কুলিং আইক্রিম ব্যবহার করুন। অনেক আইক্রিমে এখন মেটাল টিপ দেওয়া থাকে, যা বাড়তি কুলিং এফেক্ট দেয়। এগুলো ডি-পাফার হিসেবেও কাজ করবে।

রুক্ষতা বাড়লে বেশি করে পানি পান করুন

শুষ্ক ত্বকের জন্য নয়। ত্বকের ধরন কারও পক্ষে বদলানো সম্ভব নয়। একমাত্র আবহাওয়া এবং আভ্যন্তরীণ পরিবর্তনই তাতে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে হঠাৎ যদি ত্বকের মসৃণতা কমে যেতে দেখেন কিংবা ত্বক নির্জীব ও খসখসে মনে হয়, তার নেপথ্যে পানির অভাবের ভূমিকা থাকতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে গোড়ালি ফাটতে শুরু করে প্রথমে। আগে যদি কখনও এই সমস্যা না লক্ষ করেন, তাহলে বেশি করে পানি পান করুন। পাশাপাশি হায়ালুরনিক অ্যাসিডযুক্ত ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন।

ডার্ক সার্কল মানেই ঘুমের অভাব নয়

ঘুমের অভাব থেকে ডার্ক সার্কল হতে পারে। আবার কারও আগে থেকেই এই সমস্যা থাকলে তা বাড়তেও পারে। তবে সবার ক্ষেত্রে যে ডার্ক সার্কলের নেপথ্যে ঘুমের অভাবই রয়েছে, তা নয়। জেনেটিক ভূমিকাও থাকতে পারে। যদিও তা কারও নিয়ন্ত্রণে নেই বলে চিরস্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। তবে সমস্যা কমানোর চেষ্টা করা যেতেই পারে। ভিটামিন সি বা ই রয়েছে এমন ‘ব্রাইটেনিং’ আন্ডারআই ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যদি ডার্ক সার্কল দেখতে কালচে-নীল হয়, তাহলে ব্লাড ভেসেলের ফুটে ওঠার জন্যও ডার্ক সার্কল আরও স্পষ্ট দেখাতে পারে। এক্ষেত্রে ক্যাফেনযুক্ত আইক্রিমে উপকার পাবেন।

পুরোনো সান ড্যামেজের সাক্ষী ডার্ক স্পটস

ডার্ক স্পটস বয়সজনিত কারণে হতে পারে ঠিকই, তবে অনেক পুরোনো সান ড্যামেজ থেকেই নতুন দাগ দেখা দিতে পারে ত্বকে। সেই কারণেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করার ওপর এত জোর দেওয়া হয়। তবে যদি ডার্ক স্পটস ইতোমধ্যে ত্বকে হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে সমাধানস্বরূপ হাইড্রোকুইনোন ক্রিম লাগাতে পারেন। এটি ত্বকের মেলানিন তৈরির জন্য আবশ্যক এনজাইম, টাইরোসিনেজের প্রোডাকশন বন্ধ করে দেয়। ফলে দাগ মিলিয়ে যায়। হাইড্রোকুইনোন কিন্তু কোনো সাধারণ উপকরণ নয়। এর থেকে ত্বকের ইরিটেশন বা রোজেশিয়ার মতো সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করবেন না। এই ধরনের সমস্যা থাকলে হাইড্রোকুইনোনের বিকল্প হিসেবে লিকোরিস এক্সট্র্যাক্ট বা অ্যাজেলেয়িক অ্যাসিড কিংবা নায়াসিনামাইড ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বক উজ্জ্বল করে দাগের উপস্থিতি কমাবে।

বলিরেখার বলি

বয়স হলে ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমলে বলিরেখা দেখা দেয়। তেমনই ত্বক অন্য কোনো কারণে দুর্বল হয়ে পড়লেও বলিরেখা বাড়তে পারে। এই কারণগুলোর মধ্যে দূষণ, ডিজিট্যাল এজিং সবই পড়ে। প্রিম্যাচিওর এজিং সাইনস প্রতিরোধ করতে প্রয়োজন কোলাজেন বুস্ট। তেমনই এই ধরনের বলিরেখা কমাতেও কোলাজেনের ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে পেপটাইডস ব্যবহার করতে পারেন। পেপটাইডস ত্বকের গ্রোথ ফ্যাক্টরসের কার্যকারিতা বাড়াতে অব্যর্থ। ফলে তা ত্বককে বাড়তি সুরক্ষা দিয়ে দুর্বল হয়ে পড়া আটকাবে।

স্কিন স্যাগিংয়ের সমাধান কোলাজেন নয়

ত্বকের দৃঢ়তা কমছে বলে কোলাজেন ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারও যে একটা ক্ষমতা রয়েছে, সেটাও মনে রাখুন। টপিক্যাল কোলাজেন, অর্থাৎ কোলাজেনযুক্ত কোনো ক্রিম, সিরাম বা ময়েশ্চারাইজারে একটা বয়স অবধি ফল পাবেন। ত্বকের বয়স রুখে দাঁড়ানোর চিরস্থায়ী সমাধান তা নয়। শুধু কোলাজেন কেন, কোনো কিছুই ত্বককে চিরতরুণ রাখতে পারে না। তার প্রয়োজনও নেই। বয়স হলে ত্বক বদলাবে, সেটা মেনে নিন এবং সেই মতোই যত্ন নিন। আজকাল প্রচুর ক্লিনিক্যাল ট্রিটমেন্টের অপশন রয়েছে, যা ত্বকে দৃঢ়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেরকম কিছু ব্যবহার করতেই পারেন চাইলে। তবে সেটাও চিরস্থায়ী সমাধান নয়। বারবার করে যেতে হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা