প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৫৩ পিএম
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:০১ পিএম
কলকাতার রাস্তাঘাটে খাবারের দোকানের দৃশ্য যাদের একটু চোখে পড়েছে তারাই জানেন এর মহিমা। রোজকার অফিস যাওয়া-আসার সময় পথেঘাটে অনেকের জন্য এই দোকানগুলোই ভরসা। গত শতাব্দী থেকেই পথের খাবারে কলকাতার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিটি শহরেরই নিজস্ব কিছু বিশেষত্ব থাকে। তেমনই কলকাতার বিশেষত্ব ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও রাজপথ। এর পাশাপাশি কলকাতার খাওয়া-দাওয়াও স্বমহিমায় জায়গা করে নিয়েছে শহরের বিশেষত্বে। শুধু দেশ নয়, বিদেশের মান্যগণ্য ব্যক্তিত্ব ও অতিথিরাও নানা সময় কলকাতার খাবার চেখে দেখেছেন। তারিফও করেছেন দরাজ গলায়। ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রীও চেখে গিয়েছেন ভিক্টোরিয়ার কাছের ফুটপাথের খাবার।
এবার আরেক নতুন শিরোপা জুটল কলকাতার মুকুটে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইটারের ওয়েবসাইটে পৃথিবীর ১১টি শ্রেষ্ঠ খাবারের গন্তব্যের তালিকায় নাম এলো কলকাতার। কলকাতার রাস্তার মুখরোচক অসংখ্য খাবারের পাশাপাশি হোটেল ও রেস্তোরাঁর খাবারেও বহু ধরনের সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্যের স্বাদ পাওয়া যায়।
কুইজিনের পাশাপাশি বাঙালির খাদ্যরসিক মানসিকতাও এগিয়ে দিয়েছে কলকাতার খাবারের ব্যবসাকে। সারা বছরই দেশের অন্যান্য শহরের পাশাপাশি কলকাতায় বিশাল অঙ্কের ব্যবসা করেন হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকরা। কলকাতার পাশাপাশি তামাকি মাকাউরাউ (নিউজিল্যান্ড), অ্যাশেভিল (উত্তর ক্যারোলিনা), আলবুকার্ক (নিউ মেক্সিকো), গুয়াতেমালা সিটি (গুয়েতেমালা), ক্যামব্রিজ (ইংল্যান্ড), ডাকার (সেনেগাল), হ্যাল্যান্ড (সুইডেন), সার্ডিনিয়া (ইতালি), ম্যানিলা (ফিলিপাইন) এবং হো চি মিন সিটি (ভিয়েতনাম) শহরগুলোও একইভাবে জায়গা করে নিয়েছে এই তালিকায়। ইটারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০২৩-এর তালিকা তৈরির সময় শুধুই বিখ্যাত খাবার ও ‘না খেলেই নয়’ এমন তালিকায় চোখ ছিল না। পাশাপাশি খাবারগুলোর পরিবেশ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দিকেও নজর ছিল। বলাই বাহুল্য, বাঙালির দীর্ঘদিনের খাদ্যরসিক মনোভাব ও সেই সূত্রে কলকাতাজুড়ে নানা রকম কুইজিনের সম্ভার এবার এই বিশেষ খ্যাতি এনে দিল। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।