প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:২২ পিএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১২ পিএম
সংগৃহীত
শীত মানেই নানা রঙিন ফল-সবজির বাহার। সালাদ কিংবা মিক্সড সবজি বানাতে অপশন থাকে প্রচুর। স্বাদেই শুধু নয়, পুষ্টিগুণেও সেগুলো নানাভাবে সমৃদ্ধ। নানা সবজির মধ্যে একটি হলো বিট। টুকটুকে লাল রঙের এই সবজি শরীরের জন্যও অনেক উপকারী। চলুন জেনে নেয়া যাক বিটের উপকারিতা...
বিটের পরিচয়
বিটের বৈজ্ঞানিক নাম বেটা ভালগারিস। এটা এক ধরনের মূলজাতীয় সবজি। অর্থাৎ বিটগাছের মূলই হচ্ছে এর প্রধান খাদ্যোপযোগী অংশ। এর মূল গাঢ় বেগুনি-লাল বর্ণের হয়ে থাকে। চোখ জুড়ানো লাল রং আসলে বিটালাইন বা এন্থোসায়ানিনযুক্ত রঞ্জক পদার্থেরই অবদান। কিন্তু পৃথিবীতে লাল ছাড়াও দেখা যায় হলুদ, সাদা, এমনকি বহুরঙা বিটরুটও।
স্বাদ
এটি মিষ্টি স্বাদের হয়। সঙ্গে মিষ্টি আলুর মতোই অন্য রকম একটা মেটে ফ্লেভার পাওয়া যায়। বিট থেকে বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত হয় চিনি। এটি কাঁচা অবস্থায় সালাদ, সেদ্ধ বা বেক করে অন্যান্য উপকরণের সঙ্গে স্যুপ, স্টু, স্টার ফ্রাই, সস ইত্যাদি বানিয়ে মজাদারভাবে খাওয়া যায়। বিটের পাতাও শাকের মতো ভেজে খাওয়া যায়, যা খুবই উপাদেয়।
স্বাস্থ্যের উপকারিতা
বিটের আছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ক্লোরিন, আয়রন, সোডিয়ামসহ নানা উপকারী উপাদান। এ ছাড়াও...
হাড় মজবুত করে
এটি শরীরে ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে পারে বলে হাড়ের সমস্যা বেশ পরিচিত। এতে আছে হাড় মজবুত রাখার সক্ষমতা।
ক্যানসার প্রতিরোধে
ক্যানসারের ঝুঁকি প্রতিরোধে বিটের জুস অনেক উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি কাজ করে ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে।
মানসিক সমস্যায়
এতে থাকা বিটেইন ও ট্রিপটোফোন নামক উপাদানে রয়েছে মন ভালো রাখার সক্ষমতা। ফলে বিট খেলে মানসিক অবসাদ ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
মাসিকের সমস্যা দূর করে
অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় বিট খুবই উপকারী। এতে আছে আয়রন, যা লোহিত কণিকা তৈরিতে সক্ষম। ফলে মাসিকের সময় হওয়া সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি
এতে আছে বিটা ক্যারেটিন ও ভিটামিন এ। প্রতিদিন বিট খেলে রেটিনার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে চোখের ছানির মতো রোগও প্রতিহত হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
বিটে থাকে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। গবেষণায় পাওয়া গেছে, নিয়মিত বিটের জুস পানে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
এতে থাকে নাইট্রেট নামক উপাদান। যা শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রেখে উচ্চ রক্তচাপ তথা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ত্বকের জন্য
বিটে আছে অ্যান্টি এজিং উপাদান। যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। এতে ত্বকের ব্রণ, বলিরেখা, কালো দাগ, মেছতার সমস্যা দূর হয়।
ব্যথা উপশমে
বিভিন্ন গবেষণায় গিঁটে বাত বা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা উপশমে বিট জুসের সক্রিয় ভূমিকা দেখা গেছে।
পেটের সমস্যা নিরাময়ে
এক কাপ বিটরুটে আছে প্রায় ৩.৪ গ্রাম আঁশ। তাই বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের প্রদাহে নিয়মিত বিট খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
বিটের অপকারিতা
বিটের নানা ধরনের উপকারিতা থাকলেও আছে কিছু অপকারিতাও। জেনে নিন-
বিট খাওয়ার পদ্ধতি