প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:০০ পিএম
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:২২ পিএম
ঘুম ভেঙেই প্রিয় কফির মগে চুমুক দিয়ে দিনের শুরু। যেন কফি ছাড়া দিনটিই অসম্পূর্ণ। সারা দিনে সাত কিংবা আট কাপ কফি পান করেন অনেকে। কিন্তু এত পরিমাণ কফি পান করা কি ভাল? চলুন জেনে নেওয়া যাক কফির গুণ এবং দিনে সর্বোচ্চ কত কাপ কফি পান করা স্বাস্থ্যকর।
কফির গুণ
কফির আছে অনেক গুণ। ঘুম তাড়াতে মাত্র এক কাপ কফিই যথেষ্ট।
তবে এই ভালো গুণগুলো আপনি তখনই লাভ করবেন, ষখন দিনে পরিমিত পরিমাণে কফি খাবেন। দিনে দুই তিন কাপ কফি খেতেই পারেন, তবে তার বেশি হলে আবার উল্টো সমস্যা হতে পারে।
কফির ক্ষতিকর প্রভাব
পরীক্ষায় দেখা গেছে, কফিতে থাকা ক্যাফেইনের ফলে অ্যাংজাইটি, বিরক্তিভাব, রাগ, প্যানিক অ্যাটাক ইত্যাদি বেড়ে যায়। ক্যাফেইন মস্তিষ্কের স্বাভাবিক অবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় বলে ‘ওয়েক-আপ এফেক্ট’ দেখা যায়। অ্যাড্রিনালিন হরমোনের লেভেল বাড়িয়ে দেয় বলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এসব কারণে কফির প্রতি ভালোবাসা ধীরে ধীরে আসক্তিতে পরিণত হয়। যত দিন যায়, একই প্রভাব পাওয়ার জন্য কফির পরিমাণ বাড়তে থাকে। প্রতিদিনের চাহিদা পূরণ না হলেই শরীরে বেশ কিছু অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। মাথাব্যথা, চোখের চারপাশে ব্যথা, ঝিমুনি, ঘুমঘুম ভাব ইত্যাদি। প্রতিদিনের কফির পরিমাণ ৫০০ মিলির বেশি হলেই কিন্তু লং রানে আপনার বিপদে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।
বিকালের পর কফি পান না করাই ভালো। কারণ এতে হতে পারে ঘুমের সমস্যা। এছাড়া কফিতে রয়েছে ক্যাফেস্টল নামক একটি উপাদান। যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বেশি পানে কনস্টিপেশনের সমস্যাও হতে পারে। দাঁতের ওপর নিকোটিনের মতই প্রভাব ফেলে এটি। দীর্ঘদিন কফি পান করলে দাঁত হলুদ হয়ে যায় এবং ক্যাভিটিস দেখা দেয়। গবেষকরা বলেছেন গর্ভবতী মহিলাদের কফি পানের সাথে বাচ্চার লো বার্থ ওয়েটের যোগসূত্র আছে। অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ত্বকও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে অধিক মাত্রায় কফি পান করলে।