প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩ ১৭:৪৮ পিএম
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩ ১৮:০১ পিএম
ডোমিনোজ পিৎজা বাংলাদেশ প্রেস কনফারেন্সে উন্মোচন করেছে রমজান ক্যাম্পেইন ‘বক্সে ছড়াই উৎসবের খুশি’। গুলশান-১-এ অবস্থিত ডোমিনোজ পিৎজার আউটলেটে প্রেস কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়। রমজানের শিক্ষা ও মূল্যবোধের সঙ্গে কাস্টমারদের মাঝে খুশি ছড়াতে এই ক্যাম্পেইনটি তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ডোমিনোজ পিৎজা বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় লিমিটেড-এডিশন অগমেন্টেড রিয়ালিটি পিৎজা বক্স তৈরি করেছে। যেখানে রমজান মাসে ঢাকা শহরের সংস্কৃতি ও জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে। বক্সটির ওপরে থাকছে একটি QR কোড, যা সহজেই স্ক্যান করে অগমেন্টেড রিয়ালিটির মাধ্যমে কাস্টমার রমজানে ঢাকার আয়োজন ও সংস্কৃতি সরাসরি দেখতে পারবে। এ ছাড়া প্রতি স্ক্যানে কাস্টমার পাবেন একটি গিফট কুপন, যা তারা প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করে রমজানের খুশি ছড়াতে পারবেন।
ডোমিনোজ পিৎজা বাংলাদেশের কান্ট্রি মার্কেটিং লিড আবু ওবায়দা ইমন বলেছেন, ক্যাম্পেইনটি শুধু খুশি ছড়াতে নয় বরং পবিত্র রমজান মাসে ডোমিনোজ পিৎজার একটি ইউনিক উদ্যোগ। এজন্য ডোমিনোজ পিৎজা আয়োজন করেছে এক বিশেষ BOGO-অফার। থাকছে একটি কিনলে অন্যটি ফ্রি অফার। যেখানে প্রতিটি ডেলিভারি অর্ডারের বিপরীতে একজন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে ফ্রি খাবার দেওয়া হবে। গত বছর এভাবেই ১৪ হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে ফ্রি খাবার বিতরণ করা হয়েছিল। এ বছর আরও একধাপ এগিয়ে ৩০ হাজার ফ্রি খাবার বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।
রমজান মাসজুড়ে এই মহৎ উদ্যোগে অংশ নিতে পারবেন কাস্টমাররাও। গুগল প্লে-স্টোরে থাকা ডোমিনোজ পিৎজা অ্যাপ ব্যবহার করে অথবা ওয়েবসাইট m.dominos.com.bd অথবা ১৬৬৫৬ নম্বরে কল করে পিৎজা অর্ডার করা যাবে।
জুবিল্যান্ট ফুডওয়ার্কস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌমিল মেহতা বলেন, আমরা ‘বক্সে ছড়াই উৎসবের খুশি’ ক্যাম্পেইনটি নিয়ে অনেক গর্বিত। এটি ঐতিহ্য ও আধুনিক টেকনোলজির এক সংমিশ্রণ, যা কাস্টমারদের উপভোগের পাশাপাশি একটি ভালো উদ্যোগে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। কাস্টমারদের প্রতিটি ডোমিনোজ পিৎজা ডেলিভারি অর্ডারের বিপরীতে খাবার পাচ্ছে একটি সুবিধাবঞ্চিত শিশু, যা ডোমিনোজের সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটির হেড অব ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সঞ্জয় মোহতা বলেন, ‘বক্সে ছড়াই উৎসবের খুশি’ এই ইনোভেটিভ ক্যাম্পেইনটি নিয়ে আমি গর্বিত। ক্যাম্পেইনটি ডোমিনোজের একটি চমৎকার উদ্যোগ, যা সমাজের কল্যাণে আমাদের অঙ্গীকার প্রকাশ করে। এটি বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনে পরিবর্তন আনতেও সাহায্য করবে। রমজানে খাবার ভাগ করে নেওয়ার মূল্যবোধ ও শিক্ষাকে টেকনোলোজি ও আর্টের সমন্বয়ে আমরা সবার মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই।