প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৪২ পিএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:২৫ পিএম
উৎসবে শুধু নিজেদের সাজালেই চলবে না, অন্দরের সাজেও চাই পরিবর্তন। ঈদের দিনে সবকিছু থাকা চাই পরিপাটি। তাইতো ড্রয়িং এবং ডাইনিংয়ে আনুন উৎসবের আমেজ। ছিমছাম ঘর মনকে রাখে প্রফুল্ল। আর বাড়িতে আগত অতিথির চোখেও স্বস্তি জাগায়।
অন্দরে সাজের পরিবর্তনটা যে বড়ই হতে হবে, এমন নয়। অল্প খরচে ছোটখাটো কিছু জিনিসপত্র যোগ-বিয়োগ করেই ঘরে আনা যায় নতুনত্ব। ছোট ছোট এ পরিবর্তন হতে পারে বসার ঘরের কুশন কভার, সোফার কভার, জানালা-দরজার পর্দা, বিছানার চাদর, খাবার টেবিলের ম্যাট ইত্যাদি উপকরণে। ঘরের পর্দাগুলো পরিবর্তন করে দেখুন, বদলে যাবে অন্দরের চেহারা। এবারের ঈদ যেহেতু গরমে, তাই পর্দা নির্বাচন করুন হালকা রঙের। সে ক্ষেত্রে ঘরে স্বস্তি ও শীতলতা দুটিই বিরাজ করবে।
সামান্য পরিবর্তন আনে নতুনত্ব
বসার ঘরে নতুনত্ব আনতে বদলে নিতে পারেন কুশন কভার। হালকা রঙের সুতি কাপড়ে বাটিক, ব্লকপ্রিন্ট, হাতের কাজ বা কাটওয়ার্ক ডিজাইনের কুশন কভার বেছে নিতে পারেন। সঙ্গে পাল্টে নিতে পারেন সোফার কভারগুলোও। খাবার টেবিলের সজ্জায় রাখতে পারেন টেবিল ম্যাট ও রানার। নিত্যদিনের রানার বদলে সেখানে দিতে পারেন একই রঙের ম্যাট ও রানার বা বিপরীত রঙা রানার ও ম্যাট। কাতান বা সিল্কের ম্যাট রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বেশ উৎসব আমেজ আসবে। এ ছাড়া টেবিলের ওপরে ছোটখাটো কিছু ব্যাপারে নজর দিলেই টেবিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে বহুগুণ। যেমন গ্লাসের পাশে সুন্দর ন্যাপকিন ভাঁজ করে রাখতে পারেন। সাধারণ টিস্যু বক্সের বদলে ব্যবহার করুন নান্দনিক টিস্যু বক্স। টেবিলের মাঝখানে সুন্দর ছোট ফুলদানিতে রাখতে পারেন আর্টিফিসিয়াল ফুল। তাজা ফুল রাখলে আরও ভালো। যা সৌন্দর্য বৃদ্ধির সঙ্গে সুবাস ছড়াবে। যে পাত্রে খাবার পরিবেশন করবেন, পাত্রটি নির্বাচন করুন হালকা এবং এক রঙের। এতে খাবারের নিজস্ব রঙ ফুটে উঠবে।
কোনো খরচ ছাড়াই সুন্দর অন্দর
যারা অন্দর সজ্জার জন্য বাড়তি কোনো খরচ করতে চান না বা করা সম্ভব নয়, তারা পুরোনো জিনিস নতুনভাবে বিন্যাস করে নিতে পারেন। এতে ঈদের দিনে ঘরের সাজে আসবে নতুনত্ব। প্রথমে ঘরে ঝুলে থাকা ফ্যানের ব্লেডটি পরিষ্কার করে নিন। দেয়াল বেশি ময়লা হলে পেইন্ট করিয়ে নিতে পারেন। দেয়ালে টাঙানো ছবিগুলোর ময়লা মুছে আবার টাঙিয়ে দিতে পারেন। কার্পেট থাকলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন যতটা সম্ভব। নইলে কড়া রোদে দিয়ে ব্রাশ করে নিন। আসবাব রঙ করানো সম্ভব না হলে একটা পাতলা কাপড় একটু কেরোসিন ভিজিয়ে আসবাবের ওপর ঘষে নিন। এতে আসবাব ঝকঝকে হবে। বসার ঘরের আসবাবগুলো একটু অদলবদল করে সেট করুন। এতে ঘরে নতুনত্ব আসবে। ঘরকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য অন্যতম উপাদান সুন্দর পর্দা। কিন্তু নেই পর্দা কেনার বাড়তি বাজেট। তাই পুরোনো পর্দা ধুয়ে ইস্তিরি করে টাঙিয়ে দিন। ফুল ঘরের সাজের অন্যান্য উপাদানের মধ্যে অন্যতম। তাই ঘরের কয়েকটি জায়গায় সুন্দর ফুলদানি রেখে তাতে দিতে পারেন সতেজ ফুল। এতে দেখতে সুন্দর লাগবে আর এর সুগন্ধ মনকে রাখবে প্রফুল্ল। অন্যদিকে খাবার ঘরে পরিবর্তন আনতে ঈদের দিনে সকাল, দুপুর, রাত এ তিন বেলায় খাবারের ধরন অনুযায়ী ভিন্নভাবে টেবিল সাজাতে পারেন। সকালে ছিমছাম আর দুপুর ও রাতে একটু জমকালোভাবে টেবিল সাজাতে পারেন। সকালে খাবার পরিবেশন করতে ব্যবহার করতে পারেন ফুলেল নকশা করা বাসন, সঙ্গে কাচের গ্লাস। দুপুরে ব্যবহার করতে পারেন সাদা কিংবা পছন্দের রঙের প্লেট, বাটি। সঙ্গে পানির জন্য কাচের গ্লাসের বদলে দিতে পারেন সিরামিকের মগ। আর রাতের জন্য রাখতে পারেন কালো, লাল বা অন্য কোনো রঙ। ঈদের দিনে থাকে অনেক কাজ। তাই আগে খাবার টেবিলের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা ভালো। ট্রলি থাকলে গ্লাস, প্লেট, বাটি, চামচ সবকিছু সাজিয়ে রাখতে পারেন। আর ট্রলি না থাকলে টেবিলের একপাশে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন। হাতের কাছে সব থাকলে প্রয়োজনের সময় খুঁজে বের করতে সুবিধা হবে। তবে বেশি জিনিস রাখলে আবার জায়গার স্বল্পতা হতে পারে। তাই সাজাতে হবে টেবিলের আয়তন বুঝে ও নিজ রুচি অনুযায়ী। আর সব থেকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে পরিচ্ছন্নতার দিকে।