অরূপ রতন, বগুড়া
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৫৩ পিএম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:২৯ পিএম
বগুড়ার কাটিং ফিটিংয়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। প্রবা ফটো
ঈদুল ফিতরের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েই চলেছে বিভিন্ন শপিং সেন্টার ও মার্কেটে। দিন-রাত দোকানে ঘুরে ঘুরে কিনছেন পছন্দের পোশাক। সেই পোশাক আবার নিজের দেহের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ছুটছেন কাটিং ও ফিটিং মাস্টারদের কাছে।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকালে ও রাতে বগুড়ার আলতাব আলী ও নিউমার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেটের পাশেই সেলাই মেশিন নিয়ে বসে ক্রেতাদের নতুন পোশাক কাটিং ও ফিটিংয়ের কাজ করছেন দর্জিরা। ক্রেতারা প্রয়োজন অনুসারে নতুন পোশাক কেটে ফিটিং করে নিচ্ছেন।
রাসেল কবির নামে আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী বলেন, ‘পছন্দের শার্ট নিয়েছি। কিন্তু একটু বড় আর ঢিলা হয়েছে। তাই শরীরের সঙ্গে ফিটিং করে নিতে এখানে আসছি।’
হেদায়েদুল বলেন, ‘পাঞ্জাবি নিয়েছি। সব ঠিক আছে কিন্তু হাতাটা একটু অ্যাডজাস্ট করে নিতে হবে। তাই মাপ অনুযায়ী ফিটিং করে নিচ্ছি।’
সেলিনা আকতার বলেন, ‘ছেলের প্যান্টের পায়ের অংশ কেটে নিলাম। তবে গত ঈদের চেয়ে এবার টাকা বেশি নিল।’
গৌতম কুমার নামে এক কাটিং ও ফিটিং মাস্টার জানান, ‘একটি শার্ট ফিটিং করতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্যান্ট ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পাঞ্জাবি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ও টি-শার্ট ৩০ টাকা মজুরি নেন। আর মেয়েদের পোশাক ফিটিং করতে পোশাকভেদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা নিয়ে থাকেন। তবে মেয়েদের থেকে ছেলেরাই বেশি পোশাক ফিটিং করে থাকেন বলেও জানান তিনি।
শাহিন মন্ডল নামের আরেক মাস্টার জানান, এবারের ঈদে একটু কাজের চাপ বেড়েছে। আর ঈদের সময় ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি মজুরি নিচ্ছি।'
কাটিং ও ফিটিং মাস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে দিন-রাত টানা ফিটিংয়ের কাজ করতে হয়। বিশ্রামের সময় পাওয়া যায় না। এবার গত কয়েক ঈদের তুলনায় কাজ বেশি হচ্ছে।’