× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

টিপস

সময়ের সুস্থতায়

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৩৪ পিএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

শরতের এখন মধ্যগগন। তবে বর্ষার রেশ এখনও কাটিয়ে ওঠেনি একই সঙ্গে প্রকৃতি ও মন। হুটহাটই বৃষ্টি নামছে। এদিকে রোদও তার কড়া মেজাজ দেখিয়ে যাচ্ছে যখন তখন। রোদবৃষ্টির এ খেলায় আমরা হচ্ছি নাজেহাল। তাইতো হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়াটাও অস্বাভাবিক নয়। চলুন জেনে নিই এ সময় সুস্থ থাকতে করণীয়। রইল কিছু পরামর্শ-

শরতে খিচুড়ি, শর্ষেইলিশ কিংবা চা-কফির সঙ্গে চপ-শিঙাড়া না হলে কি আর হয়! তবে বৃষ্টির টুপটাপ ছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঘন ঘন এসব খাওয়া কিন্তু মুশকিল। হজমের দফারফা তো হবেই, সঙ্গে পেটের রোগ বাঁধিয়ে বসার আশঙ্কাও কম নয়। মনে রাখবেন, এ সময় এমনিই শরীরের ইমিউনিটি ক্ষমতা কম থাকে। সামান্য কিছু হলেও তা বড়সড় আকার ধারণ করতে পারে। তার ওপর যদি নিয়ম করে অনিয়ম শুরু করেন, তাহলে শরীর কুপোকাত হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। মেঘবৃষ্টির খেলা উপভোগ করতে মানা নেই, তবে শরীরকে তার পাশাপাশি রোগবালাইয়ের সঙ্গে লড়ার রসদটাও দিতে হবে। প্রতিদিন পানি ফুটিয়ে খাওয়া বা রাস্তার পাশের খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকা যেমন অভ্যাস করতে হবে, তেমনই মোটের ওপর খাওয়াদাওয়ার কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।

খাওয়াদাওয়া : এ সময় খাওয়াদাওয়ার নিয়ম একটাই- খিদে না পেলে কখনও না খাওয়া। কোনো খাবার দেখে খেতে ইচ্ছা করলে শীতকালে নির্ভাবনায় খেয়ে নেওয়া যায়। তবে এই সময়ে সেটা করার অর্থ নিজে যেচে রোগব্যাধিকে আমন্ত্রণ করা। গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম এমনিই দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে খাবার হজম করার শক্তিও কমে আসে। তাই এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন, যা হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

এ সময় ডাবের পানি বা তাজা ফলের রস উপকারী। রোদ থেকে ফিরে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বা আইসক্রিম খাবেন না। বেশি পানিযুক্ত হালকা খাবার খান। প্রচণ্ড রোদে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না। লবণ-চিনি-লেবু-পানি ঘন ঘন খান। ঠান্ডা নয়, স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি খান। চা বা কফি বেশি খাবেন না। বেশি তেল-ঝাল-মসলার খাবার খাবেন না।

  • সব শাকসবজি, ফল ভালোমতো ধুয়ে রান্না করুন বা খান। বিশেষ করে যাতে পাতা বেশি থাকে। এগুলো লার্ভাদের আঁতুড়ঘর। পারলে ঈষদুষ্ণ পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন।
  • অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। যত কম খাবেন, পাকযন্ত্রের ওপর তত কম চাপ পড়বে।
  • লিকার চায়ে পুদিনা, আদা দিয়ে বারবার পান করতে পারেন।
  • প্রাকৃতিকভাবে টক যেসব খাবার যেমন তেঁতুল, টমেটো, পাতিলেবু, টকদই, বাটারমিল্ক ইত্যাদি রান্নায় বেশি ব্যবহার করুন।
  • ডালের মধ্যে মুগ খান বেশি করে। এটা হজম করা তুলনামূলক সহজ। যে ডালই বানান, খুব একটা ঘন করবেন না। এ সময় একটু পাতলা ডাল খাওয়া ভালো।
  • রসুন, গোলমরিচ, আদা, হিং, হলুদ, ধনে ও জিরা হজমক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে উপযোগী। এতে ইমিউনিটিও বাড়বে।
  • সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়শ, লাউ, পটোল, বেগুন (পোড়া, ভাজা নয়), উচ্ছে, ওল এগুলো বেশি করে খান। ফলের মধ্যে বেদানা, সফেদা, কলা, স্ট্রবেরি বর্ষায় সবচেয়ে উপকারী। নিয়মিত গোটাকয়েক খেজুরও খান। এতে দৈনিক আয়রনের চাহিদা পূরণ হবে।
  • তেল-মসলা দিয়ে কষানো মাংস, মাছ, ডিম না খেয়ে সুপ, স্টু বেশি পরিমাণে খান। ঝাঁজ আছে, হালকা তিতকুটে কিংবা তীব্র গন্ধ আছে এমন খাবার খান। পানি সব সময় ফুটিয়ে ফিল্টার করে খাবেন। তেষ্টা না পেলেও ঘনঘন পানি খান। অবিশ্বাস্য শোনালেও এ সময়ও কিন্তু শরীর ডিহাইড্রেটেড হতে পারে।
  • ফ্রিজ থেকে বের করা খাবার সরাসরি খাবেন না। টাটকা খাবার সব সময় ভালো। তবে যদি একান্তই ফ্রিজে রাখা খাবার খেতে হয়, তাহলে ভালোমতো গরম করে খান।
  • ঘাম ও দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রচুর শাকসবজি ও ফল খাদ্য তালিকায় রাখা প্রয়োজন। বিশেষ করে শসা। এ গরমে নিয়মিত ফল, শসা খাওয়ার ফলে ঘাম কমবে, তৃষ্ণাও কম লাগবে। এতে ঘামের দুর্গন্ধও কম হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা