ঢাবি সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:২৩ পিএম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫২ পিএম
ঢাকায় লিট ফেস্টে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি লেখক অমিতাভ ঘোষ।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি লেখক অমিতাভ ঘোষ বলেছেন, মানুষ প্রকৃতির চেয়ে দুর্বল। প্রকৃতিকে ধ্বংস করার মতো সক্ষমতা মানুষের তৈরি হয়নি। মানুষ পরিবেশের যাই ক্ষতি করুক, প্রকৃতি তার সবটাই ফিরিয়ে দেবে। ফলে নিজেরা ভালো থাকতে পরিবেশের ভালো চাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে ‘হাচ ক্রসওয়ার্ড অ্যাওয়ার্ড ফর ফিকশন’ জয়ী উপন্যাস ‘দ্য হাংরি টাইড’ নিয়ে আলোচনার সেশনে অমিতাভ ঘোষ এসব কথা বলেন। সেশনটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক ও প্রযোজক সাদাফ সায্।
অমিতাভ বলেন, বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু অদ্ভুত ও অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটছে। কেবল এ অঞ্চলে না, ভেনিস বা মিয়ামিতেও বন্যা হচ্ছে, সানফ্রান্সিসকোর রাস্তায় ম্যানহোল ফেটে পানি উঠছে। এসবের পেছনে এই মানুষরাই দায়ী। মানুষ পরিবেশকে যা দিচ্ছে, তাই ফিরিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতি। তাই আমরা এমন অদ্ভুত সব কাণ্ড দেখছি।
আলোচনায় নিজ শেকড় থেকে শুরু করে বর্তমান পরিবেশ সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাসাহিত্য এবং উন্নয়নের ধারণার সঙ্গে ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহের নানা অসঙ্গতির বিষয়টি উঠে এসেছে।
সুন্দরবন নিয়ে ‘দ্য হাংরি টাইড’ বইটি লেখার সময়ের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন অমিতাভ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বইটি লেখার সময় তাকে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা ও জীববৈচিত্র্যের সংকট নিয়ে ভাবতে হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবেই মানুষ পরিবেশের ক্ষতিসাধন করছে। কিন্তু বর্তমানে এর মাত্রা বিপজ্জনক হারে বেড়েছে। ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখতে হলে তথ্য ও কল্পনার সঠিক ভারসাম্য প্রয়োজন।’
সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষ মনে করেন, ‘উপনিবেশিকতার চরম আগ্রাসন পরিবেশের অনেক ক্ষতিসাধন করেছে। মানুষকে হত্যা করে তাদের দাস বানিয়ে কলোনিস্টরা ক্ষমতার আধিপত্য দেখিয়েছে। আমাদের শেখানো হয়েছে শিল্পায়ন বা ব্যবসার মতো কেবলই মানবকেন্দ্রিক ধারণা ‘উন্নতি’ বা ‘উন্নয়ন’, যেখানে কোনো আত্মিক সংযোগ নেই।’