প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:১৬ পিএম
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫৭ পিএম
সুফিয়া খাতুন।
একাধারে লেখক, শিক্ষক ও সমাজসেবক সুফিয়া খাতুন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শতবর্ষী এ নারী শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোর পৌনে ৪টায় মৃত্যুবরণ করেন।
রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডের নিজ বাড়িতে দুপুর দেড়টায় সুফিয়া খাতুনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বনানী কবরস্থানে স্বামী এ কে এম ওয়াঝিহ উল্লাহ্র কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে, এক মেয়ে, নাতি–নাতনিসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
তার লেখা আত্মজীবনী ‘জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে ‘গ্রন্থটি ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছে। গ্রন্থটিকে একাধারে আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী বলেও অভিহিত করা হয়। বইয়ের প্রতিটি পাতায় তিনি নদীর মতো বহমান জীবনের গল্প লিখেছেন। লিখেছেন একজন নারীর সংগ্রামের কথা। বইটির সময়কাল ছিল ১৯৩০ থেকে ২০০৩ সাল।
সুফিয়া খাতুনের জন্ম ১৯২২ সালে ময়মনসিংহ জেলার ব্রহ্মপুত্রের তীরে। তিনি ছিলেন সফল স্কুলশিক্ষক। ১৯৫০–এর দশক থেকে শুরু করে ২৩ বছর তিনি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও তৎকালীন ক্যান্টনমেন্ট মডার্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন।
সমাজসেবাধর্মী নানান কর্মকাণ্ডেও যুক্ত ছিলেন সুফিয়া খাতুন। প্রাতঃভ্রমণকারীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘উষা মৈত্রী’ সংগঠন। ‘হেমন্তিকা’ নামের একটি সংগঠনের জন্মপ্রক্রিয়া থেকেই তিনি যুক্ত ছিলেন । সমমনা আগ্রহী নারীদের সঙ্গে নিয়ে বৃদ্ধাবাস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ সংগঠন কাজ করছে। আর এ দুটি সংগঠনের নামকরণ করেছিলেন তিনি।