প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:২১ পিএম
আপনার উপদেশ গ্রহণ করলে অন্যের সেলফ-অথরশিপ নষ্ট হয়। এতে করে দীর্ঘমেয়াদে মানুষের স্বাধীন চিন্তার সক্ষমতা কমে। ছবি : সংগৃহীত
মানুষ খুব সহজে অন্যকে উপদেশ দেয়। বন্ধু বা নিকটাত্মীয় হলে কথাই নেই! আপনার জন্য কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ এ নিয়ে তারাই যেন বেশি ভাবছেন। এ রকম উপদেশ দেওয়াটা ‘অনৈতিক’ বলে মনে করেন যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দার্শনিক ফরবোদ আখলাঘী।
ট্রান্সফরম্যাটিভ এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড দ্য রাইট টু রিভিল্যাটরি অটোনমি নামক এক লেখায় ফরবোদ আখলাঘী লেখেন, ‘যেনতেনভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারাটাই সব কিছু নয়। বরং নিজের পছন্দ, বোঝা-পড়ার জায়গা থেকে কতটা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্তটা কেউ নিতে পারল, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
‘অন্যের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তখন নিজের আত্মসত্ত্বাকে বা সেলফ-অথরশিপকে অনেক বেশি সম্মান জানানো হয়। এটা নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
গবেষণামূলক প্রবন্ধের জার্নাল ‘অ্যানালাইসিস’-এ প্রকাশিত ওই লেখায় বলা হয়, কোনো বিষয়ে অনার্স করা বা কোন চাকরিটা ভালো, কখন বাচ্চা নিলে সুবিধার মতো বিষয়ে মানুষ ঘনিষ্ঠদের নানা উপদেশ দেয়। আপাতত মনে হয়, ভালোবেসেই কেউ হয়তো এসব উপদেশ দিচ্ছেন। কিন্তু অনেক সময় অজান্তে স্বার্থপর জায়গা থেকেও কেউ অন্যকে উপদেশ দিয়ে থাকতে পারেন, যা অন্যের জন্য অমঙ্গলজনক হতে পারে।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরবোদ আখলাঘীর যুক্তি, যে বিষয়ে আপনি কাউকে উপদেশ দিচ্ছেন, তার ফল কী হতে পারে, তা আপনি জানেন না। অর্থাৎ আপনার উপদেশ থেকে যে কেউ উপকৃত হবেন, সে বিষয়ে আপনি নিশ্চিত নন।
সবচেয়ে বড় কথা, আপনার উপদেশ গ্রহণ করলে অন্যের সেলফ-অথরশিপ নষ্ট হয়। এতে করে দীর্ঘমেয়াদে মানুষের স্বাধীন চিন্তার সক্ষমতা কমে।
তবে হ্যাঁ, কারও সিদ্ধান্তে কেবল তখনই হস্তক্ষেপ করা যাবে, যখন দেখবেন কোনো ব্যক্তির সিদ্ধান্ত অন্য দশজনের জন্য সমস্যা ডেকে আনছে।
ফরবোদ আখলাঘীর নৈতিক ভাবনা নিয়ে কোনো সমালোচনা বা ভিন্নমত উল্লেখ করা হয়নি গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনটিতে।
সূত্র : গার্ডিয়ান।