বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সংগৃহীত ফটো
তিনটি বইয়ের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কারে’ ভূষিত করেছে ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার (এফওএসডব্লিউএএল)। ভারতের নয়াদিল্লিতে প্রতিষ্ঠানটির ‘ফস্বয়াল লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল’-এর প্রথম দিন রবিবার (২৬ মার্চ) এটি প্রদান করা হয়। তা গ্রহণ করেন সম্মিলনে সফররত বাংলাদেশি লেখক ও গবেষক রামেন্দু মজুমদার ও মফিদুল হক। তাদের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন এফওএসডব্লিউএএলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত লেখক অজিত কাউর।
বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই হলো, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়াচীন ১৯৫২। এই তিন বইয়ের জন্য সার্ক সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। এটি ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার বার্ষিক পুরস্কার। প্রতিষ্ঠানটি ২০০১ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে।
রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই আঞ্চলিক সাহিত্য সম্মিলন চলবে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) পর্যন্ত। এতে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভুটান, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশের লেখক অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে এবারের সম্মিলন উদ্বোধনের তাৎপর্য উল্লেখ করে অজিত কাউর এক বার্তায় লিখেছিলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় কোনো ছোট ঘটনা ছিল না। বাঙালি জাতির পিতার দৃঢ় প্রত্যয়ের সবচেয়ে অনন্য সাহসিকতার মাধ্যমে এটি একটি অনন্য কৃতিত্ব। যাকে ভালোবেসে ‘বঙ্গবন্ধু’ বলা হয়। যিনি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষা রক্ষার জন্য সিংহের মতো লড়াই করেছিলেন। যেকোনো মানুষের জীবনের চেয়েও একটি দেশের মর্যাদা সংরক্ষণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও লেখেন, ‘বিশ্বজুড়ে মানুষ ভূমি ও অঞ্চলের জন্য, বিদেশি নিপীড়ক বা রাজা ও স্বৈরশাসকদের কাছ থেকে তাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ভিন্ন ও অনন্য। কারণ এটি ছিল ‘মানুষের প্রাণবন্ত আত্মা’ সংরক্ষণ, যা শুধু তার নিজস্ব সংস্কৃতি এবং নিজস্ব ভাষায় স্পন্দিত এবং বিকাশ লাভ করে।’
বার্তায় তিনি বলেন, ’বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে না থাকলেও তিনি আমাদের জন্য তিনটি মূল্যবান ও চিন্তাশীল বই রেখে গেছেন। তাই এই মহান মানবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) এফওএসডব্লিউএএল সাহিত্য উৎসব-২০২৩-এর সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।’
ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার এবারের সম্মিলনে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক, দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সম্পাদক কবি ওবায়েদ আকাশ, কবি ভাগ্যধন বড়ুয়া, কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল, কবি কামরুল হাসান, সানাউল হক, আশরাফ জুয়েল, সেঁজুতি বড়ুয়া, অজয় কুমার রায় প্রমুখ। এর উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ এবং হাইকমিশনের পক্ষে কনস্যুলার (রাজনৈতিক) সফিউল আলম।
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.